সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: তীব্র দাবদাহে অসহায় হয়ে পড়েছেন মানুষ। বৃষ্টির দেখা নেই কয়েক মাস। কোনভাবেই রেহাই মিলছে না এই গরমের হাত থেকে। আর তাই এবার ব্যাঙের বিয়ে দিয়ে বৃষ্টির দেবতা বরুণদেবকে সন্তুষ্ট করে বৃষ্টি নামানোর প্রচেষ্টা দেখা গেল আরামবাগে। বুধবার আরামবাগ পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের শিব মন্দিরে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হল। আধুনিক সময়ে এই কুসংস্কারের মূল্য যতই না থাক এখন অনেকেই চাইছেন এই প্রাচীন রীতিতে ভর করে গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে এদিনের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেউ কেউ বলছিলেন এটা কোন ধর্মীয় ব্যাপার নয়, এটি একটি লোকাচার। এমনকি রামায়ণেও নাকি বৃষ্টির দেবতাকে তুষ্ট করে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। কেউ কেউ আবার বললেন, কুসংস্কার হলেও করার কিছু নেই। বিজ্ঞান তো বৃষ্টি নামাতে পারছে না। তাই ব্যাঙের বিয়ে দিয়ে যদি বৃষ্টি নামে অসুবিধা কোথায়? রীতিমতো হিন্দুশাস্ত্রের সমস্ত আচার মেনে এদিন বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

গায়ে হলুদ, মালাবদল, সিঁদুর দান সবকিছুই করা হয়। বিয়ের মন্ত্রও পাঠ করলেন ব্রাহ্মণ। মহিলাদের উলুধ্বনি আর শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠল মন্দির প্রাঙ্গণ। শুধু এখানেই শেষ নয়, বরযাত্রী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরামবাগ পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বর্তমান কাউন্সিলর স্বপন নন্দী। কনেযাত্রীদের দলে ছিলেন আরও দুই কাউন্সিলর বিশ্বনাথ চ্যাটার্জি ও প্রদীপ সিংহরায়। এদিনের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে অসংখ্য মানুষ ভিড় করেছিলেন। তবে কাউকেই না খাইয়ে ছাড়া হয়নি। সকলকেই এদিন পাতপেড়ে লুচি-মিষ্টি খাওয়ানোর ব্যবস্থা ছিল। এ বিষয়ে প্রাক্তন পুরপ্রধান স্বপন নন্দী বলেন, অনেকের বিশ্বাস ব্যাঙের বিয়ে দিলে নাকি বৃষ্টি নামে। তাই তাঁরা এই আয়োজন করেছিলেন। আমি এখানে অন্য একটা অনুষ্ঠানে এসেছিলাম। তাই আমি এখানে যোগদান করেছিলাম। অন্যদিকে পূজারী কাশীনাথ মুখার্জির দাবি, এই প্রচণ্ড দাবদাহের হাত থেকে একমাত্র বৃষ্টির দেবতা বরুণদেবই বাঁচাতে পারেন। তাই তাঁকে তুষ্ট করতেই এই বিয়ের আয়োজন। আমি আগেও এরকম বিয়ে দিয়েছি। তাতে ফল পাওয়া গিয়েছিল। আশা করছি এবারও সুফল পাওয়া যাবে।

More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি