সোমালিয়া সংবাদ, খানাকুল: ২০২১ সালের ভয়ঙ্কর বন্যায় হুগলি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরামবাগ মহকুমার খানাকুল বিধানসভা। তিন-চারটি নদীঘেরা এই বিধানসভার ভৌগোলিক অবস্থান। স্বাভাবিক ভাবেই জলাশয় থেকে জল ছাড়লেই প্লাবিত হয় খানাকুল। বন্যার জেরে রাস্তা থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি ও জমির ফসল নষ্ট হয়। মৃত্যু পযন্ত হয়। আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে মায়াপুর হয়ে গড়েরঘাটের জগৎপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তাটি হল খানাকুলের মানুষের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ পথ। অথচ বন্যার জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই রাস্তাটি। বিভিন্ন জায়গায় বন্যার ধস নামে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মেরামত করা না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় মানুষের। তাঁদের দাবি, মায়াপুর থেকে গড়েঘাটগামী রাজ্য সড়কের বিপদজনক জায়গাগুলি অবিলম্বে মেরামত বা সংস্কার না করলে যেকোনও সময় বিপদ হতে পারে। যাত্রীবাহী বাস উল্টে গিয়ে নদীতে পড়ার আশঙ্কা পর্যন্ত রয়েছে। বন্যা হওয়ার কয়েক মাস কেটে গেলেও এই সড়ক মেরামতের কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সড়কটির দুপাশে মুন্ডেশ্বরী নদীর শাখা নদী কানানদী বয়ে গিয়েছে। আর এই নদীর মাঝখান দিয়েই সড়ক তৈরি করা হয়েছে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্য সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। প্রশাসনের তরফ থেকে ‘সাবধান ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা’ বলে ব্যানার লাগানো ছাড়া কিছুই হয়নি। অথচ আর দু-তিন মাস পরেই বর্ষা আসছে।তাই বর্ষার আগে এই বিপদজনক রাস্তা সংস্কার না হলে পুনরায় বড় বিপদের সন্মুখীন হতে হবে স্থানীয়দের। যদিও খানাকুল-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা সহসভাপতি নইমুল হক আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত রাস্তা মেরামত করা হবে। এখন দেখার এলাকার মানুষের স্বার্থে এবং বড় বিপদ এড়াতে কবে এই সড়ক মেরামত হয়।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি