সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে সাফাই অভিযান চলছে। মন্দিরের আশেপাশের এলাকাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সমস্ত আবর্জনা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মন্দিরের ভিতরকার বিভিন্ন এলাকা জল দিয়ে ধুয়ে মুছে সাফ করা হচ্ছে। এবিষয়ে তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে মকরসংক্রান্তি থেকে সরস্বতী পুজো পর্যন্ত জেলার প্রতিটি ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে যে সমস্ত মন্দির রয়েছে সেগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তোলা হবে। জেলার ১৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে সরস্বতী পুজোর মাধ্যমে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান শেষ হবে।
এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে তারকেশ্বর বাবা তারকনাথ মন্দির এবং আশেপাশের অঞ্চলে পরিচ্ছন্নতা অভিযান করা হবে। মহা শিবরাত্রির দিন দলের পক্ষ থেকে সমস্ত তীর্থযাত্রীদের অভ্যর্থনা জানানো হবে। পাশাপাশি তাঁদের প্রসাদ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা হবে। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে আরামবাগ শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বপন নন্দীর নেতৃত্বে আরামবাগ পাঁড়ের ঘাট শিবকালী মন্দির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হল। পরিষ্কার শেষে স্বপনবাবু মন্দিরে পুজোও দিলেন। আরামবাগ দিঘীরপাড় দুর্গামন্দির সহ বেশ কিছু মন্দির প্রাঙ্গণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন বিধায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র সাঁতরা ও তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি পলাশ রায়।
মন্দিরের উঠোন নিজের হাতে তিনি জল দিয়ে ধুয়ে মুছে দেন। পরে মন্দিরে প্রণাম করে আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। অন্যদিকে পুরশুড়ার ডিহিবাতপুর বড় কালী মন্দির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করলেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি কিংকর মাইতি, তৃণমূলের হুগলি জেলা যুব সভাপতি গোপাল রায়, পুরশুড়া ব্লক যুব সভাপতি প্রকাশ খাঁ প্রমূখ। খানাকুলে তৃণমূলের হুগলি জেলা সম্পাদক মুন্সি নজিবুল করিমের নেতৃত্বে খানাকুলের বিভিন্ন মন্দির প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করা হয়। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের খানাকুল দু’নম্বর ব্লক যুব সভাপতি নূরনবী মন্ডল, প্রভাস সাউ প্রমুখ। পরিষ্কার শেষে তাঁরা মন্দির প্রাঙ্গণে ধূপ জ্বেলে শ্রদ্ধা জানান।
![]()

More Stories
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লড়াই আজও প্রাসঙ্গিক — আরামবাগের সিপিআইএমের নেতা সমীর চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতায় উঠে এল সংগঠনের বাস্তবতা
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে পড়ুয়া সংকটে গোঘাটের লাইব্রেরিগুলি – পাঠক টানতে উদ্যোগের খোঁজে গ্রন্থাগারগুলি
কোলাহলের মাঝেই চলছে অখণ্ড হরিনাম— হুগলির বদনগঞ্জের কয়াপাট বাজারের মন্দিরে ৪৬ বছরের ঐতিহ্য