সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: রাজনীতিবিদরা বলে থাকেন ২০১১-তে রাজ্যে বাম শাসনের পতনের অন্যতম প্রধান কারণ নন্দীগ্রাম। রক্তাক্ত নন্দীগ্রামের ঘটনা না ঘটলে বামেদের পতন এতটা ত্বরান্বিত হত না বলে অনেকেরই মত। সেদিন নন্দীগ্রাম থেকেই তৃণমূলের উত্থান শুরু হয়েছিল। ২০১১-র নির্বাচনের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম। দশ বছর পর ২০২১-এর নির্বাচনের আগে আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সেই নন্দীগ্রাম। তৃণমূল ছাড়ার পর শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কৃতিত্ব নিতে শুরু হয়েছে লড়াই। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, গত দশ বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কেন নন্দীগ্রামে আসেননি।
পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্বও শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। তারই মধ্যে সোমবার নন্দীগ্রামের জনসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করার। আর তাতে অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন সভাপতি সুব্রত বক্সি। অর্থাৎ ভবানীপুরে দাঁড়ান বা না দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আগামী নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করছেনই। আর সেকথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে আসা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীই নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিন তিনি বলেছেন, বিজেপি সুশৃংখল দল। এখানে যে কেউ যেখান থেকে খুশি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন না।
এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে দল। তাই নন্দীগ্রামে বিজেপি থেকে যেই দাঁড়াক না কেন তাঁর হয়েই লড়াই করবেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সেই প্রার্থীকে মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে জিতিয়ে আনবেন। বিজেপি প্রার্থী মমতা ব্যানার্জিকে হাফ লক্ষ ভোটে পরাজিত করবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সারা রাজ্যের মানুষ যে নন্দীগ্রামের দিকেই তাকিয়ে থাকবেন এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ সেদিনই মানুষ দেখতে পাবেন নন্দীগ্রামের পাশাপাশি রাজ্যের শাসন ক্ষমতা কার দখলে যেতে চলেছে।
More Stories
জয়রামবাটিতে স্টেশনের উদ্বোধন ১১ ডিসেম্বর করার দাবি : কামারপুকুর রেল চাই পক্ষের আবেদন
দার্জিলিংয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে মৃত ১৩, নিখোঁজ ১
কালীঘাটে বিজয়া সম্মিলনীতে মমতা–অভিষেক