সোমালিয়া সংবাদ, পুরশুড়া: তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের দুঃস্থদের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ সভায় হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে পুরশুড়ার সোদপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হল। সোদপুর সিনেমাতলা থেকে কাঁড়িগোলা পর্যন্ত এই মিছিল হয়। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, হুগলি জেলা সভাধিপতি মেহেবুব রহমান, হুগলি জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি গোপাল রায়, তৃণমূল ব্লক সভাপতি কিংকর মাইতি, তৃণমূলের পুরশুড়া যুব সভাপতি প্রকাশ খাঁ সহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অসীমা পাত্র। তাঁরা এদিন এই প্রতিবাদ মিছিল থেকে বিজেপির হামলার তীব্র নিন্দা করেন। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
মিছিল শে্যে এক পথসভা হয়। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ওরা আর মাত্র তিন মাস লম্ফঝম্ফ করবে। তারপর তৃণমূল যেই ২৩০ আসনে জিতে আবার ক্ষমতায় আসবে তখন আর ওদের দেখা যাবে না। উল্লেখ্য, রবিবার বিকেলে সোদপুরে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির পুরশুড়া শাখার উদ্যোগে দুঃস্থদের জন্য এক শীতবস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব নিজেও। অভিযোগ, তিনি মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার পরেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই মঞ্চে হামলা চালায়। চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। উপস্থিত তৃণমূল শিক্ষক সমিতির সদস্যদের মারধর করে। রেহাই পাননি বস্ত্র নিতে আসা দুঃস্থ ব্যক্তিরাও। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। শিক্ষক সমিতির সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। পাশাপাশি মঞ্চে থাকা শীতবস্ত্রগুলি দুষ্কৃতীরা লুঠ করে নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুরশুড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
এরপরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। ঘটনার সময় তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব খানাকুলের সেকেন্দারপুরে ছিলেন। সেখানে আগামী ২৫ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির জনসভা রয়েছে। তারই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছিলেন। কিন্তু এই হামলার খবর পেয়ে তিনি পুনরায় পুরশুড়ার সোদপুরে ছুটে যান। রাতেই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় একটি প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন। সেখান থেকেই সোমবার বৃহত্তর প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিলেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কিংকর মাইতি জানান, বিনা প্ররোচনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের শিক্ষক সমিতির সভায় হামলা চালিয়েছে। কারণ ওরা বুঝতে পারছে যতই দিন যাচ্ছে মানুষ ওদের কাছ থেকে সরে যাচ্ছে। ওদের পায়ের তলার মাটি আলগা হয়ে যাচ্ছে। তাই ওরা এভাবে মারধরের রাজনীতি শুরু করেছে।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ। তিনি বলেন, তৃণমূল শিক্ষা সেলের অনুষ্ঠানের আগে ওদের লোকজন বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দেয়। তারপর বিজেপিকে ফাঁসানোর জন্যই ওরা নিজেরাই চেয়ার-টেবিল ইত্যাদি ভাঙচুর করে। বিজেপি নোংরা রাজনীতি করে না।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি