October 6, 2025

প্রাথমিকে চাকরি দুর্নীতি: শোরগোল আরামবাগ জুড়ে

সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: প্রাইমারি টেট দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে মামলা চলছে।আর এই মামলার জেরেই রাজ্যের ২৬৯ জন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককে বেআইনি ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। এর মধ্যে ৬৮ জন রয়েছে হুগলি জেলার শিক্ষক। হুগলি জেলায় ৬৮ জন শিক্ষকের চাকুরিকে বেআইনি বলে ঘোষণা করার পাশাপাশি চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা থেকে শুরু করে বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।এই ৬৮ জনের মধ্যে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা আরামবাগের দাপুটে তৃণমূল নেতা গুণধর খাঁড়ার দুই মেয়ে শিবানী খাঁড়া ও সীমা খাঁড়া বরখাস্ত হন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। আর এই ঘটনার জেরে ব্যাপক অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল। সূত্রের খবর, এই সমস্ত নেতাদের দল থেকে ছেঁটে ফেলে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলে তৃণমূলের দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে সালেপুরের স্থানীয় মানুষ বলরাম মন্ডলের অভিযোগ, এই দাপুটে তৃণমূল নেতার চার মেয়েই প্রাইমারি স্কুলে চাকুরি করেন। এর মধ্যে দুই মেয়ে বরখাস্ত হন। আরও কয়েকজনের চাকরি করে দিয়েছেন।তাদেরও চাকরি গেছে। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির মেয়ে  শিবানী খাঁড়া – সালেপুর সুকান্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করতেন এবং সীমা খাঁড়া কোটালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারকেশ্বর দশঘরা এলাকায় চাকরি করতেন।এমনটাই জানা যাচ্ছে স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে।কিন্তু প্রশ্ন উঠছে একই বাড়িতে কিভাবে চার মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পান। তারপর কেনই বা দু’জন মেয়ে বরখাস্ত হন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, তৃণমূল নেতা গুণধর খাঁড়ার দুই মেয়ে ছাড়াও এই এলাকার আরও বেশ কয়েক জনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উনি চাকরি করে দিয়েছিলেন। সেই সব শিক্ষকও নাকি বরখাস্ত হন।এই বিষয়ে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা  গুণধর খাঁড়া বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমরাও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছি। আমি ধান বীজের ব্যবসা করি। কোনও ছেলেমেয়ের চাকরি করে দিইনি।কোর্টের রায়েই আমার মেয়েরা ২০১৬ সালে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরি পায়। সবমিলিয়ে  পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দুই  মেয়ের চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে শোরগোল এলাকায়। পাশাপাশি শুধু প্রাথমিকেই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তারাও এখন আতঙ্কে রয়েছেন।

Loading