সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: দরিদ্র পরিবার থেকেই উঠে আসা। জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে হবে। মনের জোর নিয়েই শুরু করে জীবন। ১৬ বছর বয়সেই পড়াশোনায় ইতি টেনে বিয়ের পিড়িতে বসেন প্রতীক্ষা। স্বামী সদাশিব কাড়ুর সঙ্গে চলে আসেন মুম্বইয়ে। যেখানে স্টেট ব্যাঙ্কে বই বাঁধাইয়ের কাজ করতেন সদাশিব। এক সময় প্রথম সন্তান জন্মানোর পরই গ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দম্পতি। যা বদলে দেয় প্রতীক্ষার জীবন। ঘটনাক্রমে বাড়ি যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন সদাশিব। যা কেড়ে নেয় তাঁর জীবন। মাত্র ২০ বছর বয়সে স্বামীকে হারিয়ে সন্তানের দায়িত্ব এসে পড়ে প্রতীক্ষার ওপর। সংসার টানতে সাফাইকর্মীর কাজ নিতে হয় প্রতীক্ষাকে। যে ব্যাঙ্কে স্বামী কাজ করতেন, সেখানেই ঝাড়ু হাতে শুরু হয় জীবনের লড়াই। সকালে ঝাড়ু- বিকেলে বই প্রতীক্ষার। তিনি জানিয়েছেন, সন্তানের জন্য সকালে ব্যাঙ্কে ২ ঘণ্টা সাফাইকর্মীর কাজ করতেন তিনি। পরে সারাদিন ছোটখাটো কাজ করেই চালাতেন সংসার। শুরু হয় পড়াশোনা। পরবর্তীকালে সাইকোলজিতে গ্র্যাজুয়েশন সম্পূর্ণ করেন এই মহিলা। এরপর ব্যাঙ্কে পান ক্লার্কের কাজ। তারপর থেকেই জীবন যুদ্ধ সফল প্রতীক্ষা।
More Stories
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা
বিজয়া দশমী: অধর্মের পরাজয় ও ধর্মের জয় উদযাপন
মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর