সোমালিয়া সংবাদ, খানাকুল: খানাকুলের সেকেন্দারপুরে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় ইন্টারনেট বিভ্রাট নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে প্রশাসনিক মহলে এখন অন্যতম আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে এদিনের এই বিভ্রাট। জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ইন্টারনেট সংস্থার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সেকেন্দারপুরের সভামঞ্চে উপস্থিত হওয়ার পরেই ইন্টারনেট পরিষেবা চলে যায়। জানা গেছে, একটি সংস্থাকে সভার সম্প্রচারের জন্য ইন্টারনেটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওই ইন্টারনেট ব্যবহার করে দলের ফেসবুক পেজে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচারের কথা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখার ঠিক আগেই পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যায়। মাঠে উপস্থিত থাকা ওই ইন্টারনেট সংস্থার কর্মীরা দ্রুততার সঙ্গে পুনরায় পরিষেবার চালুর চেষ্টা করেন। কিন্তু তার ফলে বেশ কিছুক্ষণ কেটে যায়। এই ঘটনায় তীব্র বিরক্ত প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি মঞ্চ থেকেই বলেন, যাঁরা লাইনটাকে সাবোতাজ করে বন্ধ করেছেন তাঁদের কাছে অনুরোধ তাড়াতাড়ি ঠিক করে দিন। নাহলে আমরাও ছেড়ে করা কথা বলার লোক নই। মিটিং সাাবোতাজ করার কোনো অধিকার আপনাদের নেই। এরপরই প্রশাসনিক আধিকারিকরা বিষয়টি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। তখন ওই ইন্টারনেট সংস্থার কলকাতার দপ্তরে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুনরায় ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়ে যায়। এ ব্যাপারে ওই ইন্টারনেট সংস্থার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় এক প্রতিনিধি বলেন, আমাদের এখানে কোন গণ্ডগোল হয়নি। যা হয়েছে উপরে। তাই আমাদের এখানে কিছু করার ছিল না। অন্য একটি সূত্রের অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে বিজেপির একাংশের হাত আছে। কারণ এই সংস্থার আরামবাগের যিনি দায়িত্বে আছেন তিনি বর্তমানে বিজেপির একজন প্রতিষ্ঠিত নেতা। হয়তো তাই ইচ্ছে করেই এই কাজ করা হয়েছে। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, এরকম নোংরামো কখনও বিজেপি করে না। হয়তো যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য সাময়িকভাবে ঘটনা ঘটেছিল। এর সঙ্গে রাজনীতিকে জড়িয়ে দেওয়া ঠিক হচ্ছে না।
![]()

More Stories
পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের ডাক ব্রিগেডে, রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ সনাতন সংস্কৃতি সংসদের
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইভিএম–ভিভিপ্যাটের এফএলসি শুরু রাজ্যে, চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত
হাতুড়ে ডাক্তারি বনাম পাশ করা ডাক্তার—অরাজকতার জঞ্জালে বাংলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা