সোমালিয়া সংবাদ, কামারপুকুর: গোঘাটের উন্নয়নের মুকুটে খুব শীঘ্রই আরও একটি নতুন পালক যোগ হল। সোমবার বিকেলে গোঘাটের কামারপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীপুর এলাকায় বৈদ্যুতিক চুল্লি উদ্বোধন করলেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠের মহারাজ স্বামী লোকোত্তরান্দজি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব , সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, বিধায়ক মানস মজুমদার ও কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা, কামারপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তপন মন্ডল, আরামবাগ পুরপ্রশাসক স্বপন নন্দী প্রমুখ। উল্লেখ্য, কামারপুকুর সহ আশেপাশের মানুষের মৃতদেহ সৎকারের সুবিধার জন্য এলাকার মানুষ বাম আমল থেকেই এই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তখন তা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। বছর পাঁচেক আগে গোঘাট বিধানসভা আসনটি তৃণমূলের দখলে আসে। তখন এলাকার মানুষ দলের তরুণ বিধায়ক মানস মজুমদারের কাছে পুনরায় সেই আবেদন রাখেন। এরপরই এ বিষয়ে উদ্যোগী হন বিধায়ক। তিনি বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে জানান। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের জন্মস্থান কামারপুকুরে এধরনের একটি প্রস্তাবে সঙ্গে সঙ্গে সবুজ সংকেত মিলে যায়। পরে কলকাতার মেয়র হন ফিরহাদ হাকিম। কেএমডিএ এই প্রকল্প গড়ে তোলার ব্যাপারে এগিয়ে আসে। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় সাড়ে তিনকোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। কেএমডিএ-র পক্ষ থেকে এই আর্থিক বরাদ্দ মঞ্জুর করা হয়। এই চুল্লি চালু হওয়ার ফলে হুগলি জেলার গোঘাট থানা এলাকা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার বহু মানুষ উপকৃত হবেন। উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের জন্মস্থানে আসতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। আসলে এখানে আমি উদ্বোধন করতে আসিনি, এসেছি তীর্থ করতে । নির্বাচনের সময় অনেক জায়গায় সভা করে যাই। কিন্তু অকপটে স্বীকার করছি সেই ছোট্ট বেলায় এসেছিলাম মঠে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থান দেখতে। তারপর থেকে এখানে আর আসা হয়নি। আজকে এখানে এসে আমার মনে হচ্ছে যেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের অনেক কাছাকাছি চলে এসেছি। তাই বিধায়ক মানস মজুমদার যখন বলল এখানে একটা ইলেকট্রিক চুল্লি স্থাপন করার কথা, তখন আমি বললাম শুধু একটা ইলেকট্রিক চুল্লি নয়, ঠাকুরের স্থানে যেটাই করবে সেটাই ঠাকুরকে সম্মান জানানো হবে। আর এর মাধ্যমে ঠাকুরের আশীর্বাদ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে গোঘাট বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, এই চুল্লি গোঘাটের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতেই তিনি এ ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। এরফলে গোঘাট ও পার্শ্ববর্তী জেলার বহু মানুষ উপকৃত হবেন।
![]()

More Stories
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লড়াই আজও প্রাসঙ্গিক — আরামবাগের সিপিআইএমের নেতা সমীর চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতায় উঠে এল সংগঠনের বাস্তবতা
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে পড়ুয়া সংকটে গোঘাটের লাইব্রেরিগুলি – পাঠক টানতে উদ্যোগের খোঁজে গ্রন্থাগারগুলি
কোলাহলের মাঝেই চলছে অখণ্ড হরিনাম— হুগলির বদনগঞ্জের কয়াপাট বাজারের মন্দিরে ৪৬ বছরের ঐতিহ্য