সোমালিয়া সংবাদ, খানাকুল: তৃণমূল নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন সহ মোট ৫ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪ রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের কিশোরপুরে। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, কিশোরপুর-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’নম্বর সংসদের বুথ সভাপতি সনাতন পোড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সভায় যাওয়ার জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারছিলেন দলীয় কার্যালয়ে। তাঁদের বাড়ি থেকে খুব কাছেই ওই কার্যালয়। হঠাৎই রাত ন’টা নাগাদ বাইকে করে একদল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী সেখানে চড়াও হয়। লাঠি ও রড দিয়ে সনাতনবাবু ও তাঁর দাদা গণেশ পোড়েকে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। চেঁচামেচি শুনে সনাতনবাবুর স্ত্রী ও মেয়ে সহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন বাড়ি থেকে ছুটে বেরিয়ে এলে তাদের কেউ মারধর করা হয় । এরপর দুষ্কৃতীরা যাওয়ার সময় পথের মধ্যে মারধোর করে আর এক তৃণমূল কর্মী হারাধন চক্রবর্তীকে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও পরিবারের লোকেরা সকলকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তৃণমূল বুথ সভাপতি সনাতন পোড়ে, তাঁর দাদা গণেশ পোড়ে, মেয়ে প্রিয়াঙ্কা পোড়ে এবং হারাধন চক্রবর্তীর চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। এ বিষয়ে কিশোরপুর-১ নম্বর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি উত্তম সামন্তের অভিযোগ, এলাকা থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা যাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সভায় যেতে না পারে তার জন্যই এই হামলা। কিন্তু সাধারণ মানুষ বিজেপির আসল রূপ বুঝতে পেরে গেছেন। তাই ওরা যতই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করুক না কেন সাধারণ মানুষ তৃণমূল তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পাশেই আছেন। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কেউ জড়িত নয়। এটা ওদের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপার। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির নেতা-কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর জন্য সেই দায় বিজেপির উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
![]()

More Stories
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লড়াই আজও প্রাসঙ্গিক — আরামবাগের সিপিআইএমের নেতা সমীর চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতায় উঠে এল সংগঠনের বাস্তবতা
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে পড়ুয়া সংকটে গোঘাটের লাইব্রেরিগুলি – পাঠক টানতে উদ্যোগের খোঁজে গ্রন্থাগারগুলি
কোলাহলের মাঝেই চলছে অখণ্ড হরিনাম— হুগলির বদনগঞ্জের কয়াপাট বাজারের মন্দিরে ৪৬ বছরের ঐতিহ্য