সোমালিয়া সংবাদ গোঘাট: বাড়ির দরজা ভেঙে পরিবারের সদস্যদেরকে মারধর করে বেঁধে রেখে লুটপাট চালিয়ে সোনা ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিল ডাকাতের দল। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মির্গা গ্রামে। গুরুতর জখম হয়েছেন ওই পরিবারের কর্তা সরোজ মন্ডল, তাঁর ছেলে দেবাশিস মন্ডল ও বৌমা দেবশ্রী মন্ডল। গোঘাট থানার পুলিশ তিনজনকেই মাঝরাতে তড়িঘড়ি আরামবাগ মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের ধরতে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। জানা গেছে, ওই গ্রামটি আরামবাগ-বাঁকুড়া দু’নম্বর রাজ্য সড়কের ধার থেকে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাড়ির মালিক সরোজ মন্ডল জানান, রাত্রি তখন একটা। হঠাৎই দরজা ভাঙার আওয়াজ শুনতে পান। শব্দ শুনে তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন। ততক্ষণে শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে তিনজন ডাকাত ভিতরে ঢুকে পড়েছে। তাঁকে সামনে পেয়ে শাবল দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তাঁর হাত গুরুতর জখম হয়। এরপর তাঁকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আলমারি খুলতে বলে। সেখানে কিছু না পেয়ে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা ছেলে বৌমাকে ডাকতে বলে। তারা বেরিয়ে আসতেই তাদেরকেও শাবল দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। মোবাইল ফোনগুলি কেড়ে নেয়। তারপর ছেলেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। ভয়ে তাঁরা সমস্ত আলমারি খুলে দেন। আলমারিতে থাকা ভরি পাঁচেক সোনা এবং নগদ কুড়ি হাজার টাকা নিয়ে ওরা আধঘন্টা পর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। বৌমা দেবশ্রী মন্ডল জানান, ভিতরে তিনজন ডাকাত ঢুকেছিল। তাদের সকলের মুখে ছিল মাস্ক, মাথায় গামছা বাঁধা। হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র। ওই দুষ্কৃতী দল চলে যাওয়ার পর সরোজবাবুরা গোঘাট থানায় খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি আহতদেরকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। প্রতিবেশীরা জানান, কয়েক বছর আগেও বোমা ফাটিয়ে পাশের একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। তারপর এই প্রথম। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁরা পুলিশি টহল আরও জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন।

More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি