সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: আরামবাগে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর রোড শোতে জনজোয়ার। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই রোডশোতে স্তব্ধ হয়ে গেল আরামবাগ শহর। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে এদিন প্রায় পুরো শহরের দখল নিয়ে নেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আরামবাগের দৌলতপুর থেকে এই রোড শো শুরু হয়, শেষ হয় বাসুদেবপুর মোড়ে। গাড়ির উপর শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ও আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ। এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন। দীর্ঘদিন পর এত বড় মিছিল নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এদিনের মিছিলের পর আরামবাগে বিজেপি অনেকটাই অক্সিজেন পেয়ে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, মাত্র কয়েকদিন আগেই পুরশুড়াতে জনসভা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। সেই সভাতেও বহু মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তবে সমালোচকদের মতে, শাসক দলের সভায় অনিচ্ছুক অনেক মানুষকেও উপস্থিত থাকতে হয়। যেটা বিরোধীদের সভায় বা মিছিলে হয় না। তাই বৃহস্পতিবারে শুভেন্দু সভায় যে সমস্ত মানুষজন হাজির ছিলেন তাঁদের উপস্থিতি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। এদিন বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী ও সায়ন্তন বসু। উভয়েই তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলকে। শুভেন্দু জানান, রাজ্যের পালাবদল কেবল সময়ের অপেক্ষা। মানুষ তৃণমূলকে বিদায় জানানোর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে গেছেন। এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মিথ্যাশ্রী’ ও অভিষেক ব্যানার্জিকে ‘তোলাশ্রী’ পুরস্কার দেওয়ার কথা বলেন। পাশাপাশি এদিনের বক্তব্যে তিনি বিধায়ক মানস মজুমদারকে ‘তোলাবাজ’ আখ্যা দেন। যদিও এ প্রসঙ্গে মানস মজুমদার বলেন, বিজেপিকে খুশি করতে সিবিআইয়ের ভয়ে শুভেন্দুবাবু এখন অনেক কিছুই বলবেন। ওনাকে আমরা আগে ভদ্রলোক ভাবতাম। এখন দেখছি উনি ছিলেন ছদ্দবেশী ভদ্রলোক। গোঘাটের মানুষ জানেন কে তোলাবাজ। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দিয়ে দেবেন। অন্যদিকে এদিনের রোড শোতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন খানাকুলের তৃণমূল নেতা শৈলেন সিনহাসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী। তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু জানান, আগামী দিনে তিনি খানাকুল, পুরশুড়া এবং গোঘাটে আসবেন।
![]()

More Stories
পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের ডাক ব্রিগেডে, রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ সনাতন সংস্কৃতি সংসদের
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইভিএম–ভিভিপ্যাটের এফএলসি শুরু রাজ্যে, চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত
হাতুড়ে ডাক্তারি বনাম পাশ করা ডাক্তার—অরাজকতার জঞ্জালে বাংলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা