সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: গ্রামবাসীদের তৎপরতায় বড়সড় বিপদের হাত থেকে বাঁচল স্কুল পড়ুয়ারা। জ্বলন্ত গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন নিয়ন্ত্রণ করে, তালা ভেঙে পড়ুয়াদেরকে স্কুলের বাইরে বের করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গেলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার স্কুল চলাকালীন ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের বলরামপুর সংলগ্ন শুশনিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। জানা গেছে, এদিন স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার সময় হঠাৎই গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন ধরে যায়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ মানিক্য ভট্টাচার্য চিৎকার করে গ্রামবাসীদের ডাকাডাকি শুরু করেন। পাশাপাশি খবর দেন আরামবাগ দমকল কেন্দ্র ও আরামবাগ থানায়। খবর পৌঁছায় আরামবাগ এআই এবং বিডিও অফিসেও। সঙ্গে সঙ্গে পাড়ার লোক ছুটে গিয়ে স্কুলের প্রাচীরের দরজার তালা ভেঙে ছোট্ট ছোট্ট পড়ুয়াদের উদ্ধার করেন। জানা গেছে, ওই সময় স্কুলে প্রায় ৬০-৭০ জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিল। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা খন্দকার মহসিন অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে বালি ও ভিজে চট দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। তড়িঘড়ি স্কুলে ছুটে যায় দমকলের ইঞ্জিন, পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা। দমকল কর্মীরা দ্রুত গ্যাস সিলিন্ডারটিকে পাশের একটি পুকুরে নিয়ে গিয়ে ফেলেন। তারপর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোবিন্দমাণিক্য ভট্টাচার্য বলেন, গ্রামবাসীরা যেভাবে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে আগুন নেভানার চেষ্টা করেছেন কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। তাঁরা তড়িঘড়ি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেন। এর ফলে অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা খন্দকার মহসিন বলেন, আমিও এই স্কুলেই পড়াশোনা করেছি। তাই এই স্কুলে বিপদের সময় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। তখন নিজের প্রাণের কথা মনে হয়নি। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরকে বিপদের হাত থেকে বাঁচানো গেছে এটাই সবচেয়ে বড় কথা। স্কুলে ছুটে যান আরামবাগ থানার আইসি বরুন ঘোষ, জয়েন্ট বিডিও সব্যসাচী দাস প্রমুখরা। তাঁরা জানান, কিভাবে আগুন ধরল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি