সোমালিয়া সংবাদ, আউসগ্রাম: তৃণমূলের পক্ষ থেকে গত ২ রা জানুয়ারি নজরুল মঞ্চের মেগা দলীয় বৈঠক থেকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ ও ‘দিদির দূত’ নামে দু’টি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঐ বৈঠকেই ঠিক হয় ১১ ই জানুয়ারি থেকে একই সময়ে সমগ্র রাজ্যজুড়ে কর্মসূচি শুরু হবে। সেদিনই রাজ্যের পক্ষ থেকে কর্মসূচির একটা রূপরেখা তৈরিও করে দেওয়া হয়।কর্মসূচি সফল করার জন্য সেই রূপরেখা মেনে বিধায়করা নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু করে দেয় প্রচার। আউসগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডারও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না।কর্মসূচি সফল করার জন্য ও সর্বোচ্চ মানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে এবং তৈরি করে দেওয়া সূচি মেনে আউসগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে প্রচারে নেমে পড়েন নিজ বিধানসভা এলাকার আউসগ্রাম অঞ্চলে। তার বুকে আঁটা ছিল ‘দিদির দূত’ ব্যাচ।কর্মসূচি শুরু করেন বননবগ্রামের জনপ্রিয় হরিমন্দির থেকে। দল ও সবার মঙ্গলের জন্য সেখানে তিনি প্রার্থনা করেন। পরে তিনি যান ওয়ারিশপুর মসজিদে ও শিবমন্দিরে। দুটি পবিত্র স্হানেই তিনি সবার জন্য আর একদফা প্রার্থনা করেন। এরপর তিনি বননবগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রুগীদের কুশল জিজ্ঞাসা করেন এবং প্রত্যেকের হাতে তুলে দেন সামান্য কিছু ফলমূল। এমনকি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন এবং সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন। যদিও ইতিমধ্যেই তিনি সবার স্বার্থে হাসপাতালের অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করে এলাকাবাসীর প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছেন। যেটুকু বাকি আছে সেটাও দ্রুত শেষ করার জন্য তিনি সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসাবে রাজ্য নেতৃত্বের বেঁধে দেওয়া সূচি ও সময় অনুসরণ করে সমস্ত কর্মসূচি তিনি পালন করেন।কর্মসূচি পালনের সময় বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাকে কথা বলতেও দ্যাখা যায়। তাকে দ্যাখার জন্য মাঝে মাঝে ভিড়ও জমে যায়। যদিও অতীতের মত এবারও তাকে কোনোরকম বিরক্তি অনুভব করতে দ্যাখা যায়নি। ঐসময় দু’জন দুস্থ মানুষের হাতে তিনি শীতের চাদর তুলে দেন। বিধায়কের ব্যবহারে তারা আপ্লুত হয়ে ওঠে।
More Stories
মিরিকের বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে সিপিআই(এম) নেতৃত্ব
উত্তরবঙ্গের বন্যা বিপর্যয়ে ত্রাণে বিজেপি, নীরব তৃণমূল! মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবের মাঝেই রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য্যের উত্তরবঙ্গ সফর
জয়রামবাটিতে স্টেশনের উদ্বোধন ১১ ডিসেম্বর করার দাবি : কামারপুকুর রেল চাই পক্ষের আবেদন