সোমালিয়া সংবাদ, খানাকুল: খানাকুলের মানুষের কাছে মুন্সি নজিবুল করিম মানেই মুশকিল আসান । কেউ কোন সমস্যায় পড়লেই তাঁরা এখন ছুটে যাচ্ছেন নজিবুলের কাছে। কারণ তাঁরা জানেন, যদি তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ থাকেন তিনি হলেন নজিবুল। আর নজিবুল করিমও সবসময় যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর। তাঁদের বিপদে-আপদে ভরসা হয়ে ওঠার। রবিবারও সেরকমই এক ঘটনা ঘটল।দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক অসহায় ব্যক্তিকে বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন তৃণমূলের হুগলি জেলা সম্পাদক মুন্সি নজিবুল করিম। রবিবার সন্ধেয় ব্লকের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে তিনি তাঁদের ছবি তোলার ব্যবস্থা করে দেন।
ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের রাজহাটি ভীমতলায়। জানা গেছে, এলাকার বাসিন্দা শত্রুঘ্ন সামন্ত ১৯ ডিসেম্বর দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন। একটি ইঞ্জিন ভ্যানে করে যাওয়ার সময় লরির ধাক্কায় গুরুতর জখম হন। তাঁর দুটি পা ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়। তাঁকে আরামবাগের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। দুটি পায়েরই অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাঁ পায়ের অস্ত্রোপচার করতেই প্রায় এক লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায়। শত্রুঘ্নবাবুর আর্থিক অবস্থাও তেমন ভাল নয়। একটি দোকান ভাড়া নিয়ে রুপোর জিনিস তৈরি ও মেরামতের কাজ করেন। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। কোনরকমে তাঁর উপার্জনেই সংসার চলত। অর্থের অভাবে ডান পায়ের অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনার আগেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ফরম পূরণ করেছিলেন। কিন্তু তারপর চিকিৎসার জন্য ব্যস্ত থাকায় ছবি তুলিয়ে কার্ড করা সম্ভব হয়নি। রবিবার তাঁরা বিষয়টি তৃণমূল নেতা মুন্সি নজিবুল করিমকে জানান। এরপর নজিবুল এদিন সন্ধেয় তাঁর দ্রুত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এই ঘটনায় ভীষণ খুশি শত্রুঘ্নবাবু। তিনি বলেন, টাকা দিয়ে অস্ত্রোপচার করানোর ক্ষমতা আমার নেই।
তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়ে ভীষণ উপকার হতো। তাই মুন্সি নজিবুল করিমের কাছে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তিনি দ্রুত সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা করেছেন। আমরা এর জন্য তাঁর কাছে ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি গরিব মানুষদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকেও ধন্যবাদ।
![]()

More Stories
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লড়াই আজও প্রাসঙ্গিক — আরামবাগের সিপিআইএমের নেতা সমীর চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতায় উঠে এল সংগঠনের বাস্তবতা
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে পড়ুয়া সংকটে গোঘাটের লাইব্রেরিগুলি – পাঠক টানতে উদ্যোগের খোঁজে গ্রন্থাগারগুলি
কোলাহলের মাঝেই চলছে অখণ্ড হরিনাম— হুগলির বদনগঞ্জের কয়াপাট বাজারের মন্দিরে ৪৬ বছরের ঐতিহ্য