সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: ছ’মাসের ছোট্ট তিরাকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। বাইরে থেকে তার ওষুধ আনার জন্য ছ কোটি টাকার জিএসটি মুকুব করে দিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই মানবিক সিদ্ধান্তে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ছোট্ট তিরার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনের পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। তিরাকে বাঁচাতে রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এক হয়ে এখন লড়াইয়ে নেমেছেন। ছোট্ট তিরার বাড়ি মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে। বাবা মিহির কামাত ও মা প্রিয়াঙ্কা কামাত ২০২০ সালের ১৪ই আগস্ট তিরার জন্ম হয়। জন্মের পরেই তার শরীরে অস্বাভাবিকত্ব ধরা পড়ে। দুধ খাওয়ানোর সময় সে কাঁদতে থাকে। ডাক্তাররা তখনই বুঝতে পারেন ওর শরীরের মধ্যে কিছু একটা অস্বাভাবিকত্ব রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় বিরল স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাস্ট্রফিজ (এস এম এ) রোগে আক্রান্ত। তার শরীরে কোন প্রোটিন তৈরি হবে না। নার্ভ ও বেশি বাড়বে অত্যন্ত ধীরগতিতে। আর এই রোগের ওষুধ ভারতে নেই। একমাত্র আমেরিকাতেই এই রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধ আছে। আর সেই ওষুধ খুব ব্যয়বহুল। প্রায় ১৬ কোটি টাকা মূল্যের ওষুধের প্রয়োজন। তিরার বাবা মায়ের পক্ষে অত টাকা জোগাড় করা একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। এরপরই তাঁরা বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যপাল সকলকেই জানান। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন এবং বিশিষ্টজনেরাও আর্থিক অনুদান দিতে শুরু করেন। আশ্চর্যের বিষয় অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ছ’মাসের ওই দুধের শিশুকে বাঁচানোর জন্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা উঠে যায়। কিন্তু তারপরই জানা যায় শুধু ওষুধের দাম তুললেই হবে না, ওই ওষুধ আনতে ভারত সরকারকে আরও ৬ কোটি টাকা জিএসটি দিতে হবে। এরপরই রাজনৈতিক বিরোধিতা ভুলে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এর জন্য চিঠি লেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দেন, ছোট্ট শিশুকন্যাকে বাঁচাতে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের জন্য কোনরকম জিএসটি লাগবে না। ভারত সরকার ওই শুল্ক ছাড় দেবে তিরার জন্য। এই ঘটনায় দেবেন্দ্র ফড়নবিশ প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চিঠি লেখেন। তিনি লেখেন, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড়ের জন্য চূড়ান্ত মানবিক ও সংবেদনশীল এবং দ্রুত পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমার মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর এই সৌজন্যে সকলকেই নাড়া দিয়ে গেছে।
More Stories
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা
বিজয়া দশমী: অধর্মের পরাজয় ও ধর্মের জয় উদযাপন
মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর