সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: অসহায় এক পরিবারের সহায় হয়ে উঠলো স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। আর এক্ষেত্রে পাশে দাঁড়ালেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। এক নার্সিংহোমের আইসিইউতে ভর্তি থাকা এক রোগীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য ছবি তুলে কার্ডের ব্যবস্থা করে দিলেন সরকারি কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের একটি নার্সিংহোমে। এই ঘটনায় ভীষণ খুশি অসুস্থ ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা। জানা গেছে, গোঘাটের শান্তিপুরের বাসিন্দা বৃদ্ধ নিমাই পাল প্রায় মাসখানেক ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
গ্রামের চিকিৎসকের কাছে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু হঠাৎই শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার তাঁকে আরামবাগের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করতে হয়। আইসিইউতে ভর্তি থাকায় ইতিমধ্যেই প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে বলে জানালেন তাঁর ছেলে দীনবন্ধু পাল। কিন্তু চিকিৎসার জন্য এখনও অনেক টাকার প্রয়োজন। অত টাকা জোগাড় করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ তাঁদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভাল নয়। যা কিছু উপার্জন আড়াই বিঘা জমি থেকেই। নিমাইবাবুর দুই ছেলে। তাঁরা দু’জনেই চাষ-বাসের সঙ্গে যুক্ত। যা উপার্জন হয় তাতে তাঁদের সংসার চালানো খুবই কঠিন। তাই এত টাকা কোথা থেকে পাবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না দীনবন্ধুবাবুরা। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসাথীর জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন। কিন্তু নিমাইবাবু অসুস্থ থাকায় ক্যাম্পে গিয়ে ছবি তুলতে পারেননি। তাই এদিন নার্সিংহোমে থাকাকালীনই তাঁরা যোগাযোগ করেন আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দীপক মাঝির সঙ্গে। এরপর দীপকবাবু সরকারি কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই নার্সিংহোমে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য ছবি তোলার ব্যবস্থা করে দেন। এদিন সরকারি কর্মীরা নার্সিংহোমের আইসিইউ-এর মধ্যে ঢুকে নিমাইবাবুর ছবি তোলেন। এই ঘটনায় ভীষণ খুশি নিমাইবাবুর পরিবারের সদস্যরা।
নিমাইবাবু স্ত্রী কল্পনা পাল জানান, চিকিৎসার খরচ কিভাবে যোগাবেন তাই নিয়ে তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। এখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার সুযোগ পাওয়ায় তাঁরা ভীষণ উপকৃত হবেন। এ প্রসঙ্গে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দীপক মাঝি বলেন, গরিব মানুষদের চিকিৎসা সুবিধার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছেন। তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রীর একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে প্রত্যেকে যাতে এই প্রকল্পের পরিষেবা পান সে ব্যাপারে সাধারণ মানুষের পাশে আছি। এই পরিবার আমার সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য যোগাযোগ করেছিলেন। আমি সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এখন নিমাইবাবু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেই আমরা সবচেয়ে বেশি খুশি হব।
![]()

More Stories
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লড়াই আজও প্রাসঙ্গিক — আরামবাগের সিপিআইএমের নেতা সমীর চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতায় উঠে এল সংগঠনের বাস্তবতা
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে পড়ুয়া সংকটে গোঘাটের লাইব্রেরিগুলি – পাঠক টানতে উদ্যোগের খোঁজে গ্রন্থাগারগুলি
কোলাহলের মাঝেই চলছে অখণ্ড হরিনাম— হুগলির বদনগঞ্জের কয়াপাট বাজারের মন্দিরে ৪৬ বছরের ঐতিহ্য