সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: চলছে পুজোর মরসুম, ছুটির মরসুম। দুর্গা পুজো সবে শেষ হল, সামনেই আসছে দীপাবলি। এবারের ছুটিটা আপনি কি একটু অন্যভাবে কাটাতে চাছাইছেন? চাইছেন বিদেশ ভ্রমণ করতে। কিন্তু ভিসার ঝামেলা ঝঞ্জাটে সেটা আর বাস্তবায়িত হয়ে ওঠেনা। এই উৎসবের মরশুমে পর্যটকদের জন্য আছে দুর্দান্ত সুখবর। পর্যটকরা ভিসা ছাড়াই এন্ট্রি পাবেন বিদেশে। উৎসবের আমেজে পর্যটকদের জন্য এ যেন উপরি পাওনা। কিন্তু ভারতীয় পর্যটকদের জন্য এমন লোভনীয় সুযোগ করে দিচ্ছে কোন দেশ?উৎসবের এই সময়টুকু ভারতীয় পর্যটকরা শ্রীলঙ্কায় ঘুরতে যেতে চাইলে ভিসার আর প্রয়োজন নেই নিজেদের দেশের অর্থনীতিকে আরো মজবুত করে তোলার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। ভারত ছাড়া আর কোন কোন দেশ আছে এই তালিকায়? ভারত, চিন সহ আরো সাতটি দেশের পর্যটকরা ভিসা ছাড়াই এন্ট্রি পাবেন এই দেশে। কিন্তু কেনো আমেরিকার স্থান হলো না এই বিশেষ তালিকায়?শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী এম ইউ এম আলি ঘোষণা করেছেন যে ভারত ছাড়াও আরো কিছু কিছু দেশ ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন শ্রীলঙ্কা। ভারত ছাড়া বাকি দেশগুলো হলো চিন, রাশিয়া, মালেশিয়া, জাপান, ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ড। সোশ্যাল মিডিয়াতে এই খবরটি প্রকাশ্য এসেছে মঙ্গলবার দিন। তালিকায় থাকা দেশগুলির পর্যটকদের জন্য পাঁচ মাসের ভিসা মকুবের প্রস্তাব দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।সংবাদমাধ্যমের দ্বারা এই খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আশা করা হচ্ছে বাড়বে শ্রীলঙ্কার পর্যটক এর সংখ্যা। আগামী দিনগুলোতেও পর্যটকের সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে এমনই আশা করছে শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রক। ভিসা মুকুব করার ফলে পর্যটকদের কাছে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের খরচও অনেকটা কমে যাবে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশ এই সুযোগের আওতায় আসলেও আমেরিকার ক্ষেত্রে কেন ছাড় দেওয়া হলো না সেইটাই আশ্চর্যের। কিন্তু শ্রীলঙ্কার সরকার এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোনো রকম মন্তব্য করেনি।
অদূর ভবিষ্যতে পর্যটকদের যাতে কোনরকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় সেই কারণে দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্থানগুলোতে ই-টিকিটের ব্যবস্থা করতে পারে শ্রীলঙ্কা সরকার। এই বিশেষ উদ্যোগগুলো নেওয়ার ফলে আগামী দিনগুলোতে আরো মজবুত ও জোরালো হবে শ্রীলঙ্কার পর্যটন শিল্প।
More Stories
আমেরিকার শাটডাউন ও তার ছায়া: ভারতীয় অর্থনীতি ও প্রবাসীদের জন্য কী বার্তা?
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণ দিলেন নেপালের সুশীলা কার্কি
হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও সেতু