October 5, 2025

চীনের ধাঁচে ভারত সরকার সোস‍্যাল মিডিয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে জারি করল নির্দেশিকা

 সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: ডিজিটাল মিডিয়াতে রাশ টানতে উদ্যোগী হলো এবার ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। এ নিয়ে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, চীনেও একই ধরনের সরকারি নির্দেশিকার মধ্য দিয়ে ডিজিটাল মিডিয়াগুলিকে চলতে হয়। এবার সেই পথেই হাঁটলো ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এই নির্দেশিকার কথা জানান —-

 কী কী নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে–

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মের জন্য অভিযোগ নিরসন প্রক্রিয়া অবশ্য থাকতে হবে। আগামী ২৪-ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ আধিকারিককে নিয়োগ করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে যাবতীয় অভিযোগের নিরসন করতে হবে। 

কোনও মহিলার দায়ের করা অভিযোগের ক্ষেত্রে ২৪-ঘণ্টার মধ্যে ওই বিতর্কিত পোস্ট সরিয়ে ফেলার সংস্থান থাকতে হবে।

প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মের জন্য একজন করে মুখ্য অভিযোগ আধিকারিক রাখতে হবে। ওই আধিকারিককে অবশ্যই ভারতের বাসিন্দা হতে হবে। 

প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মের একজন করে নোডাল বা প্রধান যোগাযোগের ব্যক্তি থাকতে হবে। আইন রক্ষকদের সঙ্গে ওই ব্যক্তির সর্বদা সমন্বয় থাকতে হবে।

প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মকে প্রতি মাসে একটি করে সম্মতি রিপোর্ট দাখিল করতে হবে। সেখানে বলতে হবে, কতগুলি অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং তার প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ক্ষতিকর বিষয় প্রকাশ পেলে, সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মকে তার উৎস খুঁজে বের করতে হবে। তা ট্যুইট হোক বা মেসেজ। সরকার বা আদালতের অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয় জানাতে হবে। 

ফেক নিউজের ক্ষেত্রে, সেই ব্যক্তি যিনি প্রথম পোস্ট করেছেন, তাঁর পরিচয় প্রকাশ করতে হবে। 

সব বিষয় বা কন্টেন্টকে বয়স-ভিত্তিক পাঁচটি শ্রেণিতে বিভক্ত করতে হবে। সেগুলি হল — ‘ইউনিভার্সাল (ইউ)’, ‘ইউ/এ ৭+’, ‘ইউ/এ ১৩+’, ‘ইউ/এ ১৬+’, ও ‘প্রাপ্তবয়স্ক’। শেষ তিন শ্রেণির জন্য পেরেন্টাল লক রাখতে হবে।
এদিকে এই নির্দেশিকা জারির পরেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকেরই ধারণা, এর ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার স্বাধীনতা অনেকটাই খর্ব হবে। এর ফলে ইউটিউব, গুগোল, ফেসবুক, ট্যুইটার, পোর্টাল, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াগুলি স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারবে না। পাশাপাশি ডিজিটাল মিডিয়ার ওপর নজরদারি সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রেও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে অনেকেই মনে করছেন। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ফেক নিউজ বন্ধ করতে এবং হিংসা, অশ্লীলতা ইত্যাদি প্রতিরোধেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ।

Loading