October 5, 2025

বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা উড়িয়ে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লিখলেন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা

সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: আরামবাগ কেন্দ্র থেকে দু’দুবারের বিধায়ক। কিন্তু  এবার দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। তাই রটে গিয়েছিল তিনি নাকি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু সেইসব জল্পনা উড়িয়ে দিলেন আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। শুধু তাই নয়, এদিন দলের মনোনীত প্রার্থী সুজাতা মন্ডল খাঁয়ের  সমর্থনে নিজেই রং-তুলি নিয়ে দেওয়াল লিখনে অংশগ্রহণ করলেন। সঙ্গে ছিলেন আরামবাগের পুরপ্রশাসক তথা আরামবাগ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন নন্দী। তাঁকে নিয়েও একই রকম জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার দু’জনেই সক্রিয়ভাবে দলের নির্বাচনী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে জানিয়ে দিলেন ওই সব কথার কোন ভিত্তি নেই। এদিন তাঁরা আরামবাগ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রবীন্দ্রপল্লী এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডলের সমর্থনে দেওয়াল লেখেন। যদিও এদিন প্রার্থী নিজে উপস্থিত ছিলেন না। তবুও তাঁকে জিতিয়ে আনার ব্যাপারে টিকিট না পাওয়া বিধায়কই অগ্রণী ভূমিকা নিলেন। এই ঘটনায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও নতুন উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেল। এতদিনের বিধায়ক এবার টিকিট না পাওয়ায় তাঁরা প্রাথমিকভাবে অনেকেই হতাশ হয়েছিলেন। কিন্তু এদিন বিধায়ক নিজেই তাঁদেরকে উজ্জীবিত করেন। কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, তৃণমূলে আমরা নামেই প্রার্থী হই।  আসলে ২৯৪টি কেন্দ্রেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রার্থী। তাই এই কেন্দ্রে কার নাম থাকল, না থাকল সেটা বড় কথা নয়। আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আর ঘাসফুল প্রতীক চিহ্ন দেখেই দল করছি। দিদি যা ভাল মনে করেছেন তাই করেছেন। পরে যদি মনে করেন নিশ্চয়ই আমাকে আবার কাছে টেনে নেবেন। হয়তো অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও দিতে পারেন। আমরা সবাই তাঁর সৈনিক। এদিন কৃষ্ণচন্দ্র বলেন, দলের জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করছি। কতবার আক্রমণ হয়েছে। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। মারধর করেছে। এত লড়াই করে অত্যাচার সহ্য করে তৃণমূল করেছি। তাই তৃণমূল ছেড়ে যাওয়ার কোন প্রশ্নই নেই। অন্যদিকে একই কথা বলেন পুরপ্রশাসক স্বপন নন্দী। তিনি বলেন, এসব গুজবের কোন ভিত্তি নেই। আমাদের দলের নাম তৃণমূল কংগ্রেস। আমাদের একজনই নেত্রী মমতা ব্যানার্জি, একজনই নেতা অভিষেক ব্যানার্জি। তাঁদেরকে দেখেই আমরা দল করি। তাঁরা যখন যেমন আমাদেরকে দায়িত্ব দেন আমরা পালন করে চলি মাত্র। এই রাজ্যে বিজেপির কোন নেতা নেই। তাই তারা কয়েকজনকে জোর করে ভয় দেখিয়ে ভাঙ্গিয়ে নিজেদের দলের নিয়ে যাচ্ছে। আর বাইরে থেকে নেতা এনে প্রচার করছে। আমরা তৃণমূলের ছিলাম, আছি, থাকব। আরামবাগে আগের থেকেও বেশি ভোটে প্রার্থীকে জেতাব। আমরা দিদিকে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী তো করবোই,  সেই সঙ্গে ২০২৪- এ দিল্লি থেকেও বিজেপিকে দেশ ছাড়া করব।

Loading