সোমালিয়া সংবাদ,গোঘাট: দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক বিভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে বর্তমানে সারা দেশের সঙ্গে এই বাংলাতেও প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে। কারণ এই বাংলায় ধর্মীয় ভেদাভেদের কোন স্থান নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বারেবারেই বলেছেন এ রাজ্যে কোনভাবেই কোন বিভেদমূলক আইন কার্যকর করা হবে না। কারণ এটা সম্প্রীতির বাংলা। আর সেই ছবিই ধরা পড়েছে কামারপুকুর শ্রীরামকৃষ্ণ মঠে। এখানে মঠের মধ্যে থাকা শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মাটির বাড়ির খড়ের ছাউনি তৈরি করলেন মুসলিম শ্রমিকরা। নীরবে নিঃশব্দে এভাবেই বাংলার প্রতিটি এলাকায় সম্প্রীতির নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করলেন গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার। তিনি বলেন, সারা বাংলায় হিন্দু-মুসলিম সহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ আমরা একসঙ্গে বসবাস করি। ছোট থেকেই আমরা একসঙ্গে বড় হয়ে উঠি। কখনও আমাদের মনে কোন প্রশ্ন জাগে না। আর ঠাকুরের জন্মস্থান কামারপুকুর তো সম্প্রীতির পীঠস্থান। তাই এখানে মুসলিম শ্রমিকরা ঠাকুরের বাড়ির সংস্কার করবে এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বিজেপি এই সম্প্রীতিই নষ্ট করে দিতে চাইছে। যা আমরা কোনভাবেই হতে দিতে পারি না। উল্লেখ্য, প্রতিবছর শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মতিথি শুরু হওয়ার আগে শ্রীরামকৃষ্ণের আদি মাটির বাড়ি নতুন করে সংস্কার করা হয়। এবারও তাই করা হয়েছে। সোমবার শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মতিথি শুরু হচ্ছে। সেই উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবছরও কামারপুকুর মেলাতলা মাঠে মেলা বসছে। তাই তার আগে এবারও ওই খড়ের ছাউনি নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। আর সেই কাজ করলেন গোঘাটের ভাদুর অঞ্চলের আকবর আলি, বাসের আলি প্রমুখ। এ প্রসঙ্গে আকবর আলি বলেন, আমরা এই কাজ করতে পেরে নিজেদেরকে ধন্য মনে করছি। মজুরি কত পেলাম সেটা বড় কথা নয়। এরকম একটা পবিত্র কাজ করতে পেরে আমরা ভীষণ খুশি।
More Stories
১৩ হাজার ডলারের বিনিময়ে কেনা এক টুকরো বিরানভূমি, যা পরিণত হলো প্রকৃতির স্বর্গে
কেন ব্যবহার করা হয় “ঘট” হিন্দু পূজায়?
মা দুর্গার মুখে উর্ণনাভ: মহামায়ার চিহ্ন