October 5, 2025

প্রার্থী বদলের দাবিতে গোঘাটের বিজেপির পর্যবেক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের

সোমালিয়া সংবাদ, গোঘাট: দলের ঘোষিত প্রার্থী নিয়ে তীব্র অসন্তোষ বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। তার জেরে দলীয় পর্যবেক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভের ফলে ভন্ডুল হয়ে গেল বিজেপির কর্মীসভা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের বকুলতলায়। রবিবার গোঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বিশ্বনাথ কারকের নাম। তিনি একসময় এলাকায় দাপুটে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এমনকি ২০১১ সালে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে তৃণমূল প্রার্থী মানস মজুমদারের কাছে তিনি পরাজিত হন। এরপর ২০১৮ সালে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। এবার সেই বাম দল থেকে আসা বিশ্বনাথ কারককেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার বিজেপি নেতাকর্মীরা। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছিল। মঙ্গলবার গোঘাটের বকুলতলায় একটি লজে দলের কর্মীসভা হওয়ার কথা ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী বিশ্বনাথ কারক সহ বিধানসভা এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। ওই বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পর্যবেক্ষক নাগেশ্বর পান্ডে। তাঁকে ঘিরে ধরে বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দলের নেতৃত্বের একাংশও বিক্ষোভে সামিল হন। অবিলম্বে প্রার্থী বদল করার দাবি জানানো হয়। নাহলে পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ জানানো হবে বলে বিজেপি কর্মীরা জানিয়ে দেন। এই প্রার্থীকে কোনভাবেই তাঁরা মেনে নেবেন না। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে গোঘাট ৪৪ নম্বর জেড পি মণ্ডল সভাপতি পিরুলাল আচার্য বলেন, যাকে প্রার্থী করা হয়েছে তাকে নিচুতলা থেকে উপরতলা কোন কর্মীই মেনে নিতে পারছেন না। এই প্রার্থীর হয়ে কখনোই কাজ করা সম্ভব নয়। এর জন্য আমরা যতদূর আন্দোলন করার করব। বিজেপি পর্যবেক্ষক নাগেশ্বর পান্ডে উপস্থিত কর্মীদের শান্ত হওয়ার আবেদন জানান। কিন্তু তাঁর সেই আবেদনে কেউ কান দেননি। শেষ পর্যন্ত তিনি কর্মীসভা ছেড়ে বেরিয়ে চলে যান। বলেন, প্রার্থীও ভাল, কর্মীরাও ভাল। সব ঠিক হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে বিজেপি প্রার্থী বিশ্বনাথ কারক নিজে বলেন, এরকম কোন বিক্ষোভের কথা আমার জানা নেই। অন্য কোন বিষয়ে হয়ত বিক্ষোভ হয়ে থাকতে পারে। অন্যদিকে বিদায়ী বিধায়ক তথা তৃণমূল প্রার্থী মানস মজুমদার বলেন, এটা বিজেপির নিজস্ব ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমার কোন মন্তব্য করা ঠিক নয়। তবুও বলি, এটা হওয়ারই কথা ছিল। আসলে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা বাংলা সম্পর্কে জানেন না। হয়তো এই প্রার্থী পদ নিয়ে টাকা-পয়সার খেলা রয়েছে। তবে যাই হোক না কেন এই ঘটনায় ওরা অন্তত তৃণমূলকে দোষ দিতে পারবে না।

Loading