সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে চিকেন পক্স রোগটি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। ভীষণ ছোঁয়াচে এই রোগ। যদি কেউ এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি আসেন তাহলে তিনি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তবে একবার কেউ আক্রান্ত হলে ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরের তৈরি হয়ে গেলে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার তেমন সম্ভাবনা থাকেনা। এই রোগের ভাইরাসের নাম ভেরিসেলা।
রোগের উপসর্গ– শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা সাথে জ্বর শরীরে ফুসকুড়ি ওঠা। শরীরের যেকোনো জায়গায় এই ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। প্রথমে এই ফুসকুড়ির ভিতর জল জমা হতে থাকে পরে ফোস্কার মত হয়ে যায়, কোন কোন ক্ষেত্রে পুঁজ জমা হয়। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে পুরোপুরি ভাবে শরীরের সমস্ত অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ফুসকুড়ি আস্তে আস্তে শুকাতে শুরু করে ও শুকনো আস্তরন গুলি আস্তে আস্তে ঝরে যেতে থাকে। সাধারণত দুই সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত আস্তরণ ঝরে যায়।
কিভাবে এই রোগ ছড়ায়?
চিকেন পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি কাশি ইত্যাদি থেকে এই রোগ ছড়ায় এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে রোগীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র করলে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি অবস্থান করলে বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগের ভাইরাস শরীরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে উপসর্গ দেখা যায় না সাধারণত ১২থেকে ২১দিনের মধ্যে রোগটি সুপ্ত অবস্থায় থাকে তারপর ধীরে ধীরে উপসর্গ দেখা যায়।
চিকিৎসা-
কুসংস্কার থেকে দূরে থাকতে হবে।
সবার প্রথমে রোগীকে আলাদা করে রাখতে হবে এবং যেই ঘরে থাকবে সেই ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে প্রতিদিন বিছানার চাদর এবং রোগীর ব্যবহৃত জামা কাপড় ভালোভাবে পরিষ্কার ও ধুয়ে ফেলতে হবে। আগে থেকে এই রোগের ভ্যাকসিন নেওয়া যেতে পারে। ভ্যাকসিন দেওয়া থেকে শুরু করে রোগের চিকিৎসা পর্যন্ত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ অতি অবশ্যই করতে হবে। হোমিওপ্যাথিতে কিছু ওষুধ আছে যেগুলি ব্যবহার করলে ভ্যাকসিন এর মত কাজ করে। এর সাথে রোগীকে পুষ্টিকর খাবার, বিভিন্ন রকম শাক সবজি ও ফল খেতে হবে। চর্বি এবং টক জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। এই গরমের সময় নিম পাতা, সজনে ডাঁটা ইত্যাদি খাওয়া প্রয়োজন।
More Stories
আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কখন আতঙ্কিত, জেনে নিন
থাইরয়েড থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
সস্তা খাদ্যের ফাঁদে স্বাস্থ্যব্যবসা: ভোক্তার অসচেতনতা থেকে কর্পোরেটের মুনাফা