সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) নিয়ে জটিল পরিস্থিতির মুখে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক কাঠামো। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে চারজন অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাঁদের মধ্যে দুইজন ডব্লিউবিসিএস (WBCS) অফিসার। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী কমিশনের এই কঠোর পদক্ষেপে তীব্র চাপে পড়েছেন রাজ্য সরকারি আধিকারিকেরা।
কমিশনের দাবি, সম্প্রতি ভোটার তালিকায় অস্বাভাবিক হারে নতুন নাম নথিভুক্তির চেষ্টার পিছনে রয়েছে অসাধু উদ্দেশ্য। রান্ডম স্যাম্পলিং-এর মাধ্যমে ভুয়ো ভোটারের সন্ধান পাওয়া গেছে। তদন্তে উঠে এসেছে চার আধিকারিকের সংশ্লিষ্টতা, যার ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে সাসপেনশন ও এফআইআর-এর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১৩সিসি ধারার ভিত্তিতে কমিশনের এই ডেপুটেশন ব্যবস্থা একেবারেই বৈধ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—এই দায়বদ্ধতার ভার কাঁধে নিয়েই কি চাকরি যাবে? দোষী প্রমাণিত হলে আইনে রয়েছে তিন থেকে দুই বছরের জেলের সম্ভাবনা, চাকরিচ্যুতিও অসম্ভব নয়।
এই পরিস্থিতিতে ডব্লিউবিসিএস অ্যাসোসিয়েশন মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছে, কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে যেন কেন্দ্রকে অনুরোধ করেন। তাঁদের বক্তব্য—তাঁরা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে কাজ করছেন। উপরতলার চাপ, নিচের চাহিদা—এই দ্বৈত চাপে পড়ে ভুল হতে পারে। তবে আইন সেদিকে কর্ণপাত করবে কি?চিঠির একটি বিশেষ অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে, “এই কঠিন সময়ে শাস্তির খাঁড়া অফিসারদের মনোবল ভেঙে দিতে পারে।” অনেকে মনে করছেন, এটি একটি ‘প্রচ্ছন্ন বার্তা’—অফিসারদের রক্ষা করুন, নইলে প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে।
একইসঙ্গে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। রাজ্য সরকার এখনও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে প্রশাসনিক মহলে গুঞ্জন—এই চিঠির মাধ্যমে WBCS অফিসাররা কেবল নিজেদের উদ্বেগ জানাচ্ছেন না, বরং পরোক্ষে চাপও সৃষ্টি করছেন। কমিশন যদি নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে, তবে সামনে আরও বড় সংঘাত অনিবার্য।


More Stories
জয়রামবাটিতে স্টেশনের উদ্বোধন ১১ ডিসেম্বর করার দাবি : কামারপুকুর রেল চাই পক্ষের আবেদন
দার্জিলিংয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে মৃত ১৩, নিখোঁজ ১
কালীঘাটে বিজয়া সম্মিলনীতে মমতা–অভিষেক