সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: ধনিয়াখালি ব্লকের দশঘড়া -২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মাদপুর ঘোষপাড়ায় একটি অঙ্গন ওয়ারী কেন্দ্র বিগত কয়েক বছর ধরে চলতো স্থানীয় এক প্রতিবেশীর জায়গায়। তাতে ১৮-২০ জন ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনো করতো। তারমধ্যে অনেক পড়ুয়াই অনিয়মিত ছিল । পরবর্তী কালে গ্ৰামের সমস্ত ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের শিক্ষায় আঙিনায় আনার জন্য চিন্তা ভাবনা শুরু করে প্রশাষন। সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই উঠে এসেছিল এমন একটি স্কুল তৈরী করা হবে, যেখানে বাচ্চারা দৌড়ে চলে আসবে, খেলতে খেলতে পড়া শিখে যাবে, স্কুলের প্রতি তাদের আকর্ষন বাড়বে। সেই ভাবনা থেকেই এই প্রকল্পের সৃষ্টি। চতুর্দশ অর্থ কমিশন, এম জি এন আর ই জি এ, এবং রাজ্যের অনগ্ৰসর শ্রেনী কল্যান দফতরের যৌথ উদ্যোগে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সবুজে মোড়া গ্ৰামের মাঝে বাস আকৃতিতে তৈরী করা হয় সু সংহত শিশু বিকাশ কেন্দ্রটি।বাইরে ঝাঁ চকচকে রঙ। সামনে কাঁচের আদল , চারটে চাকা, দুটো দরজা । দরজা খুলে বাসের সিড়ি বেয়ে ভিতরে ঢুকলেই আরো অভিনব ব্যাপার । বর্নপরিচয় থেকে শুরু করে নানা রঙের ফল,ফুল, কীট পতঙ্গ সহ মনীষিদের ছবি আঁকা বাসের দেওয়ালে। সিঁড়ির মতো ধাপ করে করে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত্য অক্ষর আঁকা হয়েছে। সাথে ইংরাজী অক্ষর ও লেখা । গোলাকার, অর্ধকার, বক্ররেখা, সরলরেখা , ত্রিভুজের নাম সহ ছবি আঁকা হয়েছে শিশুদের সহজভাবে শেখানোর জন্য। আলু,পটল, টমেটো সহ একাধিক সব্জীর ছবি ও বিভিন্ন মাছের ছবিও আঁকা হয়েছে নানা রঙে। ওজন মাপার জন্য ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ওজন যন্ত্র। বাসের নিচের অংশটি যেখানে বসে বাচ্ছারা পড়াশুনা করবে সেটিও খুব সুন্দর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন। বিশুদ্ধ পানীয় জল পেতে স্কুলের বাইরে বসানো হয়েছে জল তোলার আধুনিক মেশিন। বাস স্কুলে এসে ছবি দেখতে দেখতে অনাশায়েই বাচ্চারা শিখে ফেলবে সমস্ত পড়া। তাই বাসে চড়তে পড়ুয়ার সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে এই অঙ্গন ওয়ারী কেন্দ্রটিতে । বর্তমানে প্রায় ৪০ পড়ুয়া হয়েছে এই কেন্দ্রটিতে । আকর্ষিত হয়ে আশেপাশের গ্ৰাম থেকে স্কুল ছেড়ে এই স্কুলে আসতে মরিয়া অনেকে । যে বাচ্ছারা আগে স্কুলে আসতে কান্নাকাটি করতো তারাই এখন স্কুলে যেতে চেয়ে কান্নাকাটি করে।
More Stories
বিহার নির্বাচনে কংগ্রেসের তিন পর্যবেক্ষক ঘোষিত
মহালয়ার ভোরে রেডিও শোনার ঐতিহ্য ও বর্তমান বাস্তবতা
BRICS দেশগুলোর সঙ্গে ১০০% রুপিতে বাণিজ্যের প্রসঙ্গ