সোমালিয়া সংবাদ, খানাকুল: উপভোক্তাদের সুবিধার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যজুড়ে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প চালু করেছেন। যে সমস্ত উপভোক্তাদের বাড়ি রেশন দোকান থেকে অনেক দূরে তাঁদের যাতে রেশন পেতে অসুবিধা না হয় সেটাই ছিল এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। শুক্রবার আরামবাগ ও খানাকুল সীমান্তবর্তী তিলকচক গ্রামে চালু হয়ে গেল ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প এদিন সকাল থেকেই রেশন ডিলার দিপালী ব্যানার্জির কর্মীরা এই গ্রামে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় রেশনের চাল, আটা ইত্যাদি নিয়ে হাজির হন। আগের ঘোষণা মত গ্রামের মানুষও বাড়ির কাছ থেকে রেশন কার্ড হাতে নিয়ে রেশন সংগ্রহ করেন। এতদিন তাঁদেরকে পার্শ্ববর্তী কিসমৎ খেদাইল গ্রামে গিয়ে রেশন আনতে হতো। তিলকচক গ্রামের বাসিন্দা রেবা ব্যানার্জি বলেন, দুয়ারে রেশন চালু হওয়ায় প্রত্যেক মানুষের ভীষণ সুবিধা হয়েছে। কারণ এতদিন বাড়ির পুরুষরা গিয়ে পাশের গ্রাম থেকে রেশন নিয়ে আপতো। আমরা মেয়েরা যেতে পারতাম না। কিন্তু এখন বাড়ির কাছেই রেশন দেওয়ায় আমি নিজেই রেশন তুলতে এসেছি। এতে অনেক সুবিধা হচ্ছে। প্রায় একই কথা জানালেন বৃদ্ধ কাশীনাথ কোলে। তিনি বলেন, এতদিন অনেকটা পথ হেঁটে গিয়ে রেশন তুলতে হতো। কিন্তু এখন বাড়ির সামনে পেয়ে আমাদের সেই কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে না। এর জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। বিশেষ করে দিদিমণি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। রেশন নিতে আসা গোবিন্দ দেবনাথ নামে আর এক ব্যক্তি বলেন, এই প্রকল্প চালু হওয়ায় একদিকে যেমন পরিশ্রম কমেছে অন্যদিকে সময়ও বাঁচবে। ফলে প্রত্যেকেরই খুব উপকার হবে। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সাধারণ মানুষের কথা ভেবেছেন তাঁর জন্য কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি