
শুধুমাত্র ফুলের চাষ করে যে স্বনির্ভর হওয়া যায় তার দৃষ্টান্ত তৈরি করে চলেছেন গোঘাটের ভিকদাসের গোলাম মুস্তাফা। আরামবাগ-কামারপুকুর রাস্তার ধারে জারবেরা ফুলের চাষ করে বিকল্প চাষের নতুন দিশা দেখাচ্ছেন। ধান,।আলু ও অন্যান্য সবজি বাদ দিয়ে কেউ যদি শুধুমাত্র এই ফুলের চাষ করেন তাহলেও স্বনির্ভর হওয়া সম্ভব বলে জানালেন মুস্তাফা সাহেব। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি তিনি এই জারবেরা ফুলের চাষ শুরু করেন। সাতটি পলি হাউস তৈরি করে তারমধ্যে গোলাপি, লাল, হলুদ সহ বিভিন্ন রঙের ফুলের চাষ করছেন। একবারই এই ফুলের চারা বসাতে হয়। তারপর সারা বছরই এই গাছ থেকে ফুল পাওয়া যায়।
এই সমস্ত গাছের পাতাও সাজসজ্জায় লাগে। সাড়ে তিন হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে তিনি এই ফুল চাষ করছেন। মুস্তাফা সাহেব জানালেন, ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি আলুর ব্যবসা করেন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই ফুলের প্রতি তাঁর ভালোবাসা। তাই তিনি ২০০৮ সালে কলকাতায় এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট-এ ফুল চাষের জন্য প্রশিক্ষণ নেন। উদ্যানপালন ও ফুল চাষের উপর ওই প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে বন্ধু রাজকুমার মণ্ডলের সঙ্গে যৌথভাবে এই চাষ শুরু করেন। কিন্তু বন্ধুর অকাল প্রয়াণের পর তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

তাই যেভাবে পরিকল্পনা করে আরও আগিয়ে নিয়ে যাবেন ভেবেছিলেন তা অনেকটাই ব্যাহত হয়েছে। মুস্তফা সাহেব জানালেন, যদি আন্তর্জাতিক বাজারে এই ফুল বিক্রির পরিকাঠামো তৈরি করা যায় তাহলে এই ফুল চাষ করে ভীষণ লাভ পাওয়া যায়। তা নাহলে শুধুমাত্র ঘরোয়া বাজারে বিক্রি করে সেই লাভ খুবই কম। তবে কেউ যদি শুধুমাত্র নিজের পরিশ্রমে চাষ করেন তাহলে তিনি লাভবান হতে পারবেন। লোক দিয়ে চাষ করিয়ে লাভ খুব কম থাকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোন বেকার যুবক যদি ফুল চাষের মাধ্যমে স্বনির্ভর হতে চান তাহলে আমি তাকে সব রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব। এ ধরনের কাজ যারা করে থাকেন সেইসব সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেব। কিভাবে সরকারি ছাড় পাওয়া যায় সে ব্যাপারেও সাহায্য করব।’ বর্তমানে ধান, আলু সহ বিভিন্ন চাষে যেখানে অনেকেই লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছেন সেখানে এই ফুলের চাষ বেকার যুবক যুবতীদের উপার্জনের নতুন পথ খুলে দিতে পারে কোন সন্দেহ নেই।
More Stories
আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কখন আতঙ্কিত, জেনে নিন
থাইরয়েড থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
সস্তা খাদ্যের ফাঁদে স্বাস্থ্যব্যবসা: ভোক্তার অসচেতনতা থেকে কর্পোরেটের মুনাফা