October 5, 2025

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডই এখন প্রানভোমরা ক্যান্সার আক্রান্ত বৃদ্ধা শান্তিরানী দেবীর

সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ:  মাস ছয়েক আগে করানো একটা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডই এখন বৃদ্ধা শান্তিরানী দেবীর কাছে প্রাণ ভোমরা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনায় খুশি তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে স্বামী ও বড় মেয়ের। কারণ বাইরে নিয়ে গিয়ে নামি হাসপাতালে ভালোভাবে চিকিৎসা করানোর মতো আর্থিক সক্ষমতা তাঁদের ছিল না।  পরিবারে আর্থিকস্বচ্ছলতা  এখনও  ফেরেনি। কিন্তু ক্যান্সার আক্রান্ত বৃদ্ধা শান্তিরানী কুন্ডুর হাতে এখন রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। তাই তাঁকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা রাজারহাট টাটা মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতালে চলে গেছেন। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলবে। কারণ ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, ওই হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পাওয়া যাবে।  শান্তিরানী দেবীর ভাইপো মানস কুন্ডু বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকার জন্যই জেঠিমাকে বড় হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারছি।

এই কার্ড না থাকলে খুবই সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে অসংখ্য ধন্যবাদ। উল্লেখ্য, শান্তিরানী দেবীর বাড়ি আরামবাগের বসন্তপুরে।  বর্তমানে দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন। তাঁদের একটি ভুসি ও খোলের ছোট দোকান আছে। মানসবাবু জানান, মাস চারেক আগে শান্তিরানী দেবী হঠাৎই খুব দুর্বল হয়ে পড়েন। বারবার বমি শুরু হয়। প্রথমে কিছুদিন আরামবাগে তাঁর চিকিৎসা করা হয়। তারপর তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শে সিটি স্ক্যানে ধরা পড়ে প্যানক্রাইটিসে ক্যান্সার হয়েছে। আবার বাড়িতে ক্যান্সারের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন। তখনই তাঁরা একটা ভাল ক্যান্সার হাসপাতালের খোঁজখবর শুরু করেন।

জানতে পারেন রাজারহাটের টাটা মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণযোগ্য। এরপরই তাঁরা আশার আলো দেখতে পান। তড়িঘড়ি শান্তিরানী দেবীকে সেখানে নিয়ে যান। এ বিষয়ে আরামবাগ পুরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী বলেন, যাঁরা সমস্যায় পড়ছেন তাঁরাই এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের গুরুত্ব বুঝতে পারছেন। ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। ওনারা এই কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসার সমস্ত  সুযোগ পাবেন। ওই পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি। যেকোনো প্রয়োজনে সাহায‍্যের হাত বাড়িয়ে দেব।

Loading