সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: বিরল রোগে আক্রান্ত সাড়ে পাঁচ বছরের ছোট্ট আয়ানকে বাঁচাতে দিশেহারা দিনমজুর দম্পতি। সাহায্যের জন্য এখানে-ওখানে ছুটে বেড়াচ্ছেন। যাতে সহৃদয় ব্যক্তিদের আর্থিক সাহায্যে একমাত্র সন্তানের চিকিৎসা করাতে পারেন। আয়ানের বাবা বিলাস উলাল দিনমজুর। সেই উপার্জনে কোন রকমে সংসার চলে। মা সুমিতা উলাল সাধারন গৃহবধূ। সুমিতা দেবী জানান, এগারো মাস বয়স থেকেই ছেলে জ্বর-সর্দি-কাশি নানারকম উপসর্গে অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করার পর কলকাতাতেও চিকিৎসা করান। কিন্তু তেমন কোন রোগ ধরা পড়েনি। গত বছর জানা যায়, ছেলের শরীরে ‘সিডি ফোর’ কাউন্ট অনেক কম। এর ফলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই নেই। যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের রোগ হলে তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। তাই চন্ডিগড়ে অবস্থিত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টারে তাঁদের ছেলের চিকিৎসা করাচ্ছেন। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ছেলেকে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে অবিলম্বে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। এর জন্য কমপক্ষে ২০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। এর পরেও চিকিৎসার জন্য আরও ১০ লক্ষ টাকা হাতে রাখার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মোট ৩০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু বিলাসবাবু জানান, তাঁদের হাতে কোন টাকা-পয়সা নেই। তারা একেবারেই নিঃস্ব। তাই তাঁরা বিষয়টি সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে জানিয়েছিলেন। সাংসদের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর তিন লক্ষ টাকা এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন। এছাড়াও স্থানীয় সমাজসেবী ও ব্যবসায়ী সৈয়দ জিয়াজুর রহমান এক লক্ষ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু এখনও প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা কিভাবে যোগাড় করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। তাই তাঁরা সহৃদয় মানুষদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁরা যেন তাঁদের সন্তানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। তাঁদের দিকে যেন সাধ্যমত আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। তাহলে তাঁদের ছোট্ট সন্তানকে তাঁরা আবার সুস্থ করে তুলতে পারবেন। যোগাযোগ-৭৩৬৩৯৫৯৪০৭
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি