October 6, 2025

মঙ্গলকোটের গণপুরে নবমীর দিন মাতৃপুজোর সঙ্গে গ্রহরাজের পুজো

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: ব্যক্তিগত পুজো যে সার্বিক হতে পারে দীর্ঘদিন ধরেই তার নিদর্শন পাওয়া যায় পশ্চিম মঙ্গলকোটের গণপুরের ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজোয়। যেভাবে সমস্ত গ্রামবাসী এখানকার পুজোয় অংশগ্রহণ করে তাতে দেখলে মনে হবে এটা বারোয়ারি পুজো। আসলে আন্তরিকতার মাধ্যমে ভট্টাচার্য বাড়ির সদস্যরা আপন করে ফেলেছে সমগ্র গ্রামবাসীদের। গত প্রায় সাতশ বছর ধরে সেই ট্রাডিশন আজও সমানে চলে আসছে।সাধক রামচন্দ্র ন্যায়বাগীশের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজো। মাটির ঘরে ‘মা’ এলেও সেখানে বরাবরের মত ভক্তির কোনো অভাব ছিল না, আজও নাই। আজও সপরিবারে ‘মা’ আসেন এক পাটাতে। ইউনেস্কো বাঙালির দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ভাবা হয়েছিল এবার হয়তো এখানে মূর্তির বিবর্তন ঘটবে। নতুন প্রজন্মের সদস্যরা হয়তো মূর্তির মধ্যে আধুনিকতা খুঁজবে। তারা চাইবে তাদের মায়ের মুখের মধ্যে কোনো জনপ্রিয় শিল্পীর মুখের ছোঁয়া থাকুক। কিন্তু কি আশ্চর্য, নব প্রজন্ম সেটা চায়নি। তাইতো আশেপাশের শত পরিবর্তনের মধ্যেও মূর্তির মধ্যে আছে সাবেকিয়ানার ছাপ, যাকে দেখলেই ভক্তির ভাব আসে মনে। তবে একটা পরিবর্তন হয়েছে। ‘মা’ এখন মাটির ঘরের পরিবর্তে আসছেন নব নির্মিত দালান ঘরে। নিয়ম মেনে পুজোপাঠ চলে।তবে নবমী পুজোর দিন মাতৃপুজোর সঙ্গে সঙ্গে গ্রহরাজেরও পুজো হয়। শোনা যায় স্বয়ং গ্রহরাজ নাকি সাধক রামচন্দ্র ন্যায়বাগীশকে এই নির্দেশ দিয়ে যান। আজও এই বংশের বংশধররা সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছে।

Loading