সোমালিয়া সংবাদ, খানাকুল: শুভ মহালয়ার পুণ্যতিথিতে পুনঃঅভিষেক হয়ে গেল দেবী সতীর ৫১ সতীপীঠের অন্যতম খানাকুলের রত্নাবলী মায়ের মন্দির। এছাড়াও পুনঃপ্রতিষ্ঠা হল দেবী রত্নাবলী মায়ের মূর্তির। এই উপলক্ষে রবিবার পুজোপাঠ, অভিষেক, ভোগ বিতরণ ইত্যাদি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দূর দূরান্ত থেকেও অসংখ্য ভক্ত এদিন এই সতীপীঠে এসে পুজোপাঠে অংশ নেন এবং প্রসাদ গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, এতদিন এই রত্নাবলী মায়ের মন্দির এবং প্রতিমা ছিল মাটির। স্থানীয় মান্দির কমিটির উদ্যোগে এবং গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় এবার এই মন্দির পাকার করা হল। পাশাপাশি মাটির মূর্তি বিসর্জন দিয়ে কষ্টিপাথরের রত্নাবলী মায়ের প্রতিমা তৈরি হয়েছে। মন্দিরের দেওয়ালগুলি চিত্রিত হয়েছে টেরাকোটা শিল্পকার্যে। এরজন্য মন্দিরের দেওয়াল বাঁকুড়ার পাঁচমুড়া থেকে টেরাকোটার দশমহাবিদ্যার দেবী মূর্তি নিয়ে এসে বসানো হয়েছে। মন্দিরে পুরোহিত উজ্জ্বল বটব্যাল জানান, পুরানের কাহিনী অনুসারে এটি সতীর ৫১পীঠের অন্যতম। খানাকুলের উবিদপুরে রত্নাকর নদীর তীরে সতীর ডান স্কন্ধ পড়েছিল। প্রবীণ বাসিন্দারা জানান, এক সময় এই রত্নাকর নদী ছিল অত্যন্ত ভীষণা ও খরস্রোতা। বর্তমানে তা মজে গিয়ে সরু খালের রূপ নিয়েছে। এখন অনেকে একে কানা দ্বারকেশ্বর বলেও চেনেন। অথচ একসময় এখানে ছিল নদী-বন্দর। বড় বড় নৌকা এখানে ভিড়ত। স্থানীয় বাসিন্দা রাজারাম মুখার্জি জানালেন, সতীপীঠের অন্যতম হলেও এই মন্দির চিরকালই অবহেলিত থেকে গেছে। যদিও উইকিপিডিয়া থেকে শুরু করে গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকাতে এই রত্নাবলী সতীপীঠের উল্লেখ রয়েছে। আর তাই শুধু স্থানীয়রাই নন, সারা বছরই দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ এখানে দর্শনে আসেন। অনেকে এই সতীপীঠ নিয়ে গবেষণার জন্যও এখানে এসেছেন।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি