October 5, 2025

তৈরি হচ্ছে উড়ন্ত মোটরগাড়ি, ছুটবে মাটিতে ও আকাশে দু’জায়গাতেই

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: পৌরাণিক কাহিনীতে দেখা যায় দেবদেবী থেকে শুরু করে মহারথীরা রথে করে মহাকাশ পথে যাতায়াত করছেন। কল্পবিজ্ঞানেও এরকম প্রচুর গল্প রয়েছে। তারপর বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও এডিটিং-এর মাধ্যমে ইউটিউবে এখন উড়ন্ত গাড়ির ছড়াছড়ি। সেই গাড়ি কখনো রাস্তা দিয়ে ছুটছে, আবার কোন একটি গাড়ি জলে ভেসে যাচ্ছে, আর যেখানে জল এবং রাস্তা কিছুই নেই সেখানে ডানা মেলে হাওয়ায় ভেসে আকাশে পাড়ি দিচ্ছে। এতদিন এসব কিছুই স্বপ্ন মনে হলেও এবার তা বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে। ২০২৩ সালের মধ্যেই বাজারে ফ্লাইং কার আনছে স্লোভাকিয়া। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখন একেবারে শেষ পর্যায়ে। এই গাড়ির বৈশিষ্ট্য হল, স্বাভাবিক অবস্থায় রাস্তার উপর দিয়ে ছুটবে, কিন্তু যখনই যানজট দেখা দেবে বা জ্যামে আটকে যাবে তখনই সে ডানা মেলে উপর দিয়ে উড়ে যাবে। তবে শুধু স্লোভাকিয়া নয়, জাপান ও রাশিয়া একই দৌড়ে রয়েছে। তারাও একই ধরনের গাড়ি তৈরি করে ফেলেছে। তবে বাজারে আসতে আরও কয়েকটা বছর লেগে যাবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এই গাড়ি যে সমস্ত জায়গায় থামবে অর্থাৎ নামবে সেটা কি রকম হবে। কারও কারও মতে, এই গাড়ি কংক্রিটের যেকোনও জায়গাতেই অতি সহজে নামতে পারবে। আবার কেউ কেউ বাড়ির ছাদে নামানোর কথা জানিয়েছে। এরইমধ্যে খবর, ব্রিটেন তৈরি করছে পোর্টেবল এয়ারপোর্ট। যেখানে শুধুমাত্র উড়ন্ত মোটরগাড়ি উঠানামা করবে। প্রয়োজনে ওই এয়ারপোর্টকে অন্য জায়গায় সরিয়েও নিয়ে যাওয়া যাবে। আপাতত কভেন্ট্রি শহরে এই কাজ চলছে। বৃটেনের স্টার্টআপ সংস্থা আরবান এয়ারপোর্টের সঙ্গে এই প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্ডাই মোটর কোম্পানি। এয়ারপোর্ট তৈরি করতে প্রায় বারো লক্ষ পাউন্ড খরচ ধরা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে এয়ার ওয়ান। তবে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা রিকি সাঁঁধু জানিয়েছেন, ফ্লাইং কারের সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীবাহী ড্রোনও এখানে নামানো যাবে। এয়ারপোর্টের মধ্যে থাকছে রানওয়ে। আর ১৪  মিটার ব্যাসার্ধের ল্যান্ডিং প্যাড। গাড়ি আকাশ থেকে নেমে মাটি ছুঁলেই তা সরাসরি এয়ারপোর্টের মধ্যে ঢুকে যাবে। এর জন্য কভেন্ট্রি শহরের প্রাণকেন্দ্রে এরিনা স্টেডিয়াম লাগোয়া একটি পার্কিং লট-কে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে সমালোচকরা এর বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে ছাড়েননি। তাঁঁদের বক্তব্য, এই প্রকল্পের জন্য ১২ লক্ষ পাউন্ড খরচ করা উচিত হচ্ছে না। ওই টাকা স্কুল শিক্ষাব্যবস্থা বা কোভিড নিয়ন্ত্রণে খরচ করলে মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হতেন। কিন্তু কল্পবিজ্ঞানের কাহিনী যখন বাস্তব রূপ পেতে চলেছে তখন কোন দেশই কি সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই? হয়তো এর মাধ্যমেই আগামী দিনে বিশ্বের পরিবহন ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত খুলে যেতে চলেছে।

Loading