October 5, 2025

ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য মালবাহকের কাজ করেন শিক্ষক

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: কলেজের অধ্যাপকের অভিনব প্রয়াস।দরিদ্র ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য শিক্ষককার পাশাপাশি কুলির কাজ করেন অধ্যাপক।তিনি সকালে বেসরকারি কলেজের লেকচারার। রাতে মালবাহক। দুই মেরুর এই অবস্থানকে এক বিন্দুতে মিলিয়েছেন ওড়িশার গঞ্জামের নাগেশু পাত্র। সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসিত চর্চিত এই তরুণ। তিনি সকালে বেসরকারি কলেজে লেকচারার। রাতে বেরহামপুর স্টেশনে মালবাহকের কাজ করেন। উদ্দেশ্য, তাঁর তৈরি দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়াদের কোচিং সেন্টারে পড়ানো যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে।২০১১ সালে থেকে তিনি নথিভুক্ত মালবাহক হিসেবে কাজ করছেন। অতিমারি পর্বে তাঁর জীবন সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। দেশজুড়ে লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেনচলাচল। তিনি কর্মহীন হয়ে পড়েন। জীবিকা হারিয়ে তিনি নিশ্চল হয়ে বসে থাকতে চাননি। দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য কোচিং সেন্টার শুরু করেন ওড়িয়া ভাষায় এই স্নাতকোত্তর। তাঁর তৈরি কোচিং সেন্টারে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণীর পড়ুয়ারা পড়াশোনা করতে আসে। নাগেশ তাদের হিন্দি আর ওড়িয়া পড়া দেখিয়ে দেন। অন্যান্য বিষয়ের জন্য তিনি শিক্ষক নিয়োগ করেন। মালবাহক হিসেবে তিনি প্রতি মাসে ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা উপার্জন করেন। তার বেশির ভাগ টাকাই তিনি ব্যয় করেন এই কোচিং সেন্টারের জন্য। তাঁর নিয়োগ করা শিক্ষকরা মাসে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পান। তার এই মানবিক কাজের প্রশংসা করেছেন এলাকার মানুষ।

Loading