সোমালিয়া সংবাদ, গোঘাট: ৫০ কুইন্টাল চাল ২০ কুইন্টাল ডাল, বাঁধাকপি ৩০ কুইন্টাল, আলু ১০ কুইন্টাল। রাঁধুনি ও তাঁদের সহকারি ১২০ জন। কড়াইয়ের সংখ্যা ১৬টি। ১১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক। এরমধ্যে আবার চারটি কড়া বিশাল আকারের। যার এক একটিতে এক হাজার মানুষের রান্না করা যায়। বাকি ছোট কড়াইগুলিতে রান্না হয় তিন হাজার জনের। শুক্রবার গোঘাটের সম্প্রীতি উৎসবে এমনই আয়োজন দেখা গেল। হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এদিন পশাপাশি বসে খিচুড়ি ভোগ খেলেন। এরজন্য বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল রান্না। আর সেই কাজে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ হাতে হাত মিলিয়ে সামিল হলেন। স্থানীয় মানুষের উদ্যোগে গোঘাটের ভাদুরে গত ২৫ বছর ধরে মিলনোৎসব চলে আসছে। শুধুমাত্র এই একদিনের উৎসবের জন্যই ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার দোকান বসে। উদ্যোক্তারা জানালেন, এখানে রয়েছে প্রায় ২০০ বছরের পুরনো বাবা মকদম পীরের মাজার। প্রতি বছর ৫ মাঘ এলাকার মানুষ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই উৎসবে অংশ নেন। আশেপাশের ৩০-৩৫টি গ্রামের বেশির ভাগ বাড়ির উনানে এদিন হাঁড়িই চড়ে না। সকলেই এখানে পৌঁছে খিচুড়ি ভোগ খান। এত বিশাল মানুষের সমাবেশ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাই এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করেন। এদিন বহুদূর থেকে বহু মানুষ এই উৎসবে হাজির হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মানস মজুমদার, আমি প্রতিবছর এই মিলনোৎসবে উপস্থিত থাকি। এখানে এলে মানসিক শান্তি পাই। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ এখানে আনন্দ উপভোগ করেন। দেখে খুব ভাল লাগে। এই উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা প্রভাস হাটি জানালেন, এখানে কোন ভেদাভেদ নেই। সবাই হাতে হাত মিলিয়ে সৌভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হই। এখানে না এলে তা উপলব্ধি করা যাবে না। তাই এই এলাকার মানুষ সারা বছর এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন।

More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি