ইমরান খানকে নিয়ে অস্থিরতা অব্যাহত পাকিস্তানে

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: লড়াই তার রক্তে। পাকিস্তানকে ক্রিকেটে যখন বিশ্বকাপ দিয়েছিলেন, তার আগে অবসর নিয়ে ফেলেছিলেন। তারপরেও অসম্ভব লড়াই করে ওয়াসিম, ইনজামামদের নিয়ে অসাধ্য সাধন করেছিলেন। বয়সটা এখন দ্বিগুণ। তাতেও এক ইঞ্চি দম কমেনি কাপ্তানের। প্রতিমুহূর্তে সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছেন। মঙ্গলবার ইমরান খানকে গ্রেফতার পুলিশ লাহোরের জামান পার্কে তাঁর বাড়িতে এলে পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।পুলিশ সমর্থকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। সমর্থকেরাও ইটপাটকেল ছোড়েন। ইমরানকে গ্রেফতার করার কোনো সুযোগ পুলিশকে দেননি সমর্থকেরা।পিটিআইয়ের প্রধান ইমরান খান মাস্ক পরে তাঁর বাসভবন থেকে বের হয়ে আসেন এবং দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। পিটিআইয়ের টুইটার অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে।ওই এলাকা থেকে পুলিশ ১০ জন পিটিআই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আদালতের নির্দেশের পর এদিনই ইসলামবাদ পুলিশের একটি দল ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে লাহোরে পৌঁছায়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬২ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫৪ জন পুলিশ সদস্য। আজ যখন ইমরান খান পুলিশের ছোঁড়া টিয়ার গ্যাসের খোল নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন, তখনও তার দুচোখে ভয় নেই।ইমরান জানিয়েছেন যেভাবে পুলিশ তার সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে এবং টিয়ার গ্যাস প্রয়োগ করেছে সেটা মনুষ্যত্বের অপমান। নিরস্ত্র মানুষের ওপর শক্তি প্রয়োগ সভ্য দেশে হয় না। শাহবাজ শরিফ প্রশাসনকে আজকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। মোশারফ এবং বেনজির ভুট্টোর মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে না গিয়ে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। মরে গেলেও পাকিস্তান ছাড়বেন না। এটাই কাঁটার মতো বিঁধছে পাকিস্তানের বর্তমান প্রশাসনের গলায়। আজ এইভাবে ঠেকানো গিয়েছে গ্রেফতারি। কিন্তু আর কত ঘন্টা বা কতদিন ঠেকানো যাবে জানা নেই। ইমরান জানিয়েছেন তাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত হবে। কিন্তু তিনি লড়াইয়ের পথ থেকে পিছিয়ে আসবেন না। জান দিতে রাজি পাকিস্তানের অন্যতম সেরা আইকন। শরিফ শাসনের হুকুমত মেনে নেবেন না।