October 5, 2025

চাষের জমিতে এই গাছ লাগলেই বিপদ চাষিদের

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: বর্তমান সময়ে চাষাবাদের পাশাপাশি অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য কৃষকরা প্রায়শই তাঁদের জমির আশেপাশে বিভিন্ন প্রজাতির লাভজনক গাছ লাগিয়ে দেন। এমতাবস্থায়, ওই ধরণের গাছগুলি সাধারণত দেড় থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই বড় হয়ে যায়। এদিকে, কিছু গাছ আছে যেগুলির ক্ষেত্রে সঠিক যত্ন, সার ও জলের প্রয়োজন হয়। অপরদিকে, কিছু কিছু গাছ আবার ধীরে ধীরে নিজেরাই বাড়তে শুরু করে। এই সব গাছের কাঠ বাজারে বিক্রি করা হয় ভালো দামে। আর এভাবেই কৃষকেরা বাড়তি আয়ের সুযোগ পেয়ে যান।তবে, এমনও কিছু গাছ আছে যেগুলো ভুল করেও জমিতে লাগানো উচিত নয়। অন্যথায় সেগুলি বড়সড় ক্ষতি করে দেয়। মূলত, ওই গাছগুলি জমির উর্বরতা শক্তিকে নষ্ট করে ফেলে। আর ওইরকমই এক গাছ হল ইউক্যালিপটাস। পাশাপাশি, এই গাছটি নীলগিরি গাছ নামেও পরিচিত। না জেনে এই গাছ চাষযোগ্য জমিতে লাগিয়ে ফেললে থাকে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা। এমতাবস্থায়, সেই প্রসঙ্গটিই বর্তমান প্রতিবেদনে উপস্থাপিত করা হল।মাটি থেকে জল শোষণ করে নেয়: উদ্ভিদবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানোর ৫ বছর পরে এটি তার পূর্ণ রূপ ধারণ করে। অর্থাৎ ততদিনে গাছটি একটি ২৫-৩০ ফুট লম্বা গাছে পরিণত হয়। যা বিক্রি করে আপনি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারেন। কিন্তু উপার্জন হলেও এই গাছ মাটিতে উপস্থিত জল ও মাটির পুষ্টিগুণকে কমিয়ে ফেলে। এই গাছের দৈনিক ১২ লিটার জল এবং প্রচুর পুষ্টির প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, যখন পর্যাপ্ত জল পাওয়া যায় না, তখন ইউক্যালিপটাস গাছের শিকড়গুলি ভূগর্ভস্থ জল শোষণ করতে শুরু করে। যার কারণে ওই এলাকার ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নিচে নেমে যায়। অনেক এলাকায় এই গাছ লাগানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে: দেখা গেছে, যেসব এলাকায় ইউক্যালিপটাস গাছের চাষ হচ্ছে, সেইসব এলাকায় ভূগর্ভস্থ জলের স্তর অন্যান্য এলাকার তুলনায় অনেকটাই নিচে চলে গিয়েছে। এমতাবস্থায়, এহেন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে সেইসব এলাকাকে বিপজ্জনক এলাকা ঘোষণা করে সেখানে এই গাছ লাগানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে, এই ধরণের গাছ লাগানোর পর সেই মাটি আর অন্যান্য চাষের ক্ষেত্রে উপযোগী থাকে না। পাশাপাশি, মাটির গুণাগুণও নষ্ট হয়ে যায়।

Loading