October 6, 2025

খানাকুলের ঘোষপুরে পানীয় জল প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মন্ত্রী অসীমা পাত্র

সোমালিয়া সংবাদ, খানাকুল: দীর্ঘদিন ধরেই পানীয় জল নিয়ে সমস্যা ছিল। আর সেই সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে এল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনাটি খানাকুলের ঘোষপুর অঞ্চলের। রবিবার বিকেলে খানাকুল-১ নম্বর ব্লকের ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মান্নাডাঙ্গা এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জল পরিষেবার শিলান‍্যাস হয়ে গেল। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে  ৩ কোটি ৩৮  লক্ষ টাকা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অসীমা পাত্র, আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল যুব সভাপতি ড. গোপাল রায়, আরামবাগ পুরপ্রশাসক স্বপন নন্দী, খানাকুল-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঝুমা বাগ, ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হায়দার আলি সহ বহু বিশিষ্ট মানুষজন। এদিন মন্ত্রী অসীমা পাত্র বলেন, ২০১১ সালের পর বাংলার মা মাটি মানুষের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ৬৭ টি প্রকল্প চালু করেছেন আজ ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরের পক্ষ থেকে তিনটি মৌজা নিয়ে একটি পিএইচই প্রকল্পের শিলান‍্যাস হল। এর ফলে এলাকার মানুষ ভীষণ ভাবে উপকৃত হবেন। এদিন তিনি সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির বাড়িতে সিবিআইয়ের নোটিশ পাঠানো প্রসঙ্গে বলেন, যারা উন্নয়ন করতে পারে না তারাই নোংরা রাজনীতিটা বেশি করে করতে পারে। আর যাকেই নোটিশ পাঠাক না কেন তৃণমূল কংগ্রেসকে এইভাবে কেউ ভাঙতে পারবে না, তৃণমূল কংগ্রেস ইস্পাত দিয়ে তৈরি। জানা গেছে, ঘোষপুর ও কিশোরপুর-১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বিভিন্ন গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের জন্য পি এইচ ই দফতরের পক্ষ থেকে একটি রিজার্ভার তৈরি করা হবে। তার মাধ্যমে পাইপলাইনের সাহায্যে বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। এই ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে এখন খুশির হাওয়া। এলাকার বাসিন্দারা জানান, আশেপাশের গ্রামের তুলনায় এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু গ্রামে ভূগর্ভস্থ জলস্তর বেশ খানিকটা নিচে রয়েছে। তাই সাধারণ টিউবওয়েলের মাধ্যমে খুব কম জল ওঠে। আর বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে জল প্রায় ওঠে না বললেই চলে। ফলে গ্রামবাসীদেরকে পানীয় জল নিয়ে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। যাঁদের আর্থিক অবস্থা ভাল তাঁরা বাড়িতে ব্যক্তিগত পাম্প বসিয়ে সমস্যার সমাধান করেছেন। কিন্তু বাকিদের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। তাঁরা দূর-দূরান্ত থেকে জল বয়ে আনতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই তাঁরা এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের জন্য বারবার পঞ্চায়েতের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এবার সেই দাবি পূরণ হতে চলায় তাঁরা ভীষণ খুশি। এ প্রসঙ্গে পিএইচই দপ্তরের আরামবাগ অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শোভন বিশ্বাস জানান, পাঁচ লক্ষ লিটার ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট একটি রিজার্ভার তৈরি করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। এর ফলে ঘোষপুর, ময়াল,  ইছাপুর এলাকার বহু মানুষ উপকৃত হবেন।

Loading