সোমালিয়া সংবাদ, গোঘাট: বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো গোঘাটবাসী। স্বামীকে আলিঙ্গনরত অবস্থায় বন্ধ ঘরের বিছানায় রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল স্ত্রীর। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোঘাটের বেতমনি এলাকায়। বর্তমানে স্বামী আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। মৃত মহিলার নাম পূর্ণিমা মল্লিক (৩৩)। তাঁর স্বামী জগন্নাথ মল্লিক দিল্লিতে সোনার রূপোর কাজ করতেন। তাঁদের একটি বছর পাঁচেকের মেয়ে আছে। তাঁরা সকলেই দিল্লীতেই থাকতেন। মাসখানেক আগে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছিলেন। কিন্তু এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল বলে কখনও জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে অনেক বেলা হয়ে গেলেও দরজা না খোলায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। ভিতরে তখন বাচ্চা মেয়েটি কান্নাকাটি করছিল। এরপরই তাঁরা দরজা খুলে দেখেন বিছানার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনে পড়ে রয়েছেন। তাঁদের গলা ও হাত সহ বিভিন্ন জায়গায় ধারালো ব্লেড দিয়ে কাটা। তাঁরা বুঝতে পারেন স্ত্রী মারা গেলেও স্বামী তখনও বেঁচে আছেন। এরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গোঘাট থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি স্বামী জগন্নাথ মল্লিককে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের বেডে শুয়ে যন্ত্রণাকাতর অবস্থায় জগন্নাথ বলেন, টাকা-পয়সা নিয়ে দু’জনের মধ্যে দীর্ঘদিন গন্ডগোল চলছিল। তাই আমি নিজেই আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। ওকে মারতে চাইনি। কিন্তু ও বাধা দিতে এসেছিল। তারপর কি হয়ে গেছে আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। পুলিশ জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় মৃতের বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে স্বামী বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলাা হয়েছে।
![]()

More Stories
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লড়াই আজও প্রাসঙ্গিক — আরামবাগের সিপিআইএমের নেতা সমীর চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতায় উঠে এল সংগঠনের বাস্তবতা
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে পড়ুয়া সংকটে গোঘাটের লাইব্রেরিগুলি – পাঠক টানতে উদ্যোগের খোঁজে গ্রন্থাগারগুলি
কোলাহলের মাঝেই চলছে অখণ্ড হরিনাম— হুগলির বদনগঞ্জের কয়াপাট বাজারের মন্দিরে ৪৬ বছরের ঐতিহ্য