সোমালিয়া ওয়েব নিউজ : ফের ভারতীয় রেলে ভয়ংকর গাফিলতির অভিযোগ। এবার চালক ছাড়াই জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া থেকে ছুটল একটি মালগাড়ি। চালক ছাড়াই ঘণ্টায় ১০০ কিমি বেগে কাঠুয়া থেকে সেই ট্রেন পঞ্জাব পর্যন্ত ছুটে চলল। কিন্তু, কী ভাবে সম্ভব হল এমনটা? জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া রেলস্টেশনে মালগাড়িটি দাঁড় করিয়ে চালক নেমেছিলেন। তারপর আচমকাই ট্রেনটি নিজে থেকে চলতে শুরু করে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তার গতিবেগ। জানা যায়, ট্রেনটির ইঞ্জিন চালু ছিল। কাঠুয়া স্টেশন ছেড়ে মালগাড়িটি একের পর এক স্টেশন পেরোতে শুরু করে। তখন গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। মালগাড়িটিকে স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখে হকচকিয়ে যান চালক। খবর জানাজানি হতেই হুলস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। পরবর্তী সব স্টেশনগুলিতে যোগাযোগ শুরু করেন কাঠুয়ার আধিকারিকরা। কিন্তু, লাভের লাভ কিছুই হয়নি। ততক্ষণে ট্রেনটি ৮৪ কিলোমিটার অতিক্রম করে ফেলেছে। শেষ পর্যন্ত মালগাড়িকে থামাতে কাঠের গুঁড়ি, স্লিপার ফেলে দেওয়া হয় রেললাইনে। কোনওমতে পঞ্জাবের কাছে থামে দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা চালকবিহীন এই মালগাড়ি। একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছে। যেখানে চালকবিহীন মালগাড়িটিকে সজোরে ছুটতে দেখা যাচ্ছে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। চালক ছাড়া মালগাড়ি ছোটার ভিডিয়ো দেখে থ হয়ে গিয়েছে নেটিজেনরা। রেলের শীর্ষকর্তারা কাঠুয়া স্টেশনে পৌঁছন। দুর্ঘটনা এড়াতে পরবর্তী সমস্ত স্টেশনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পঞ্জাবের মুকেরিয়ার উঁচি বস্সিতে আটকানো সম্ভব হয় ১০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে আসা চালকবিহীন মালগাড়িটিকে। রবিবার সকাল ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ একটি মালগাড়ি দাঁড় করানো ছিল। রেলপথ ঢালু থাকায় মালগাড়িটি গড়াতে শুরু করে। এরপরই গতিবেগ বাড়তে বাড়তে ১০০ কিলোমিটার বেগে পৌঁছে যায়। রেল মন্ত্রক এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনাটিতে যদিও কোনও প্রাণহানির খবর নেই। তবে ভয়ংকর বিপদ যে হতে পারত তা মানছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
More Stories
আমেরিকার শাটডাউন ও তার ছায়া: ভারতীয় অর্থনীতি ও প্রবাসীদের জন্য কী বার্তা?
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণ দিলেন নেপালের সুশীলা কার্কি
হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও সেতু