October 5, 2025

শিশুদের খেয়াল রাখার মানসিকতা জাগ্রত করা

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ:

এটি একটি অত্যন্ত মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষণীয় গল্প, যা শিশুকে সঠিক মূল্যবোধ শেখানোর গুরুত্ব তুলে ধরে।

ধরুন, দুপুরে খাওয়া শেষে একটাই মাছ ভাজা রয়ে গেছে।

রাতে খাওয়ার সময় মাছটা কাকে দেবেন? পরিবারে শুধু আপনারা দুজন আর ফুটফুটে এক সন্তান।

কমন যে চিত্রটি আমরা দেখতে পাই:

রাতে খাওয়ার সময় বাচ্চাকে পুরো মাছটা দিয়ে দেয়। আর বাবা মা দুজন ড্যাব ড্যাব চোখে শুধু তাকিয়ে থাকবে আর তার খাওয়া দেখে মনটা ভরে যাবে।

আহ কি শান্তি!

আসলে যা করা দরকার ছিলো:

রাতে ৩ জনই একসাথে খেতে বসবো। তার সামনেই মাছটা সমান ৩ ভাগে ভাগ করব। আর ৩ জনেই ৩ টুকরা খেয়ে নেবো।

বিশ্বাস করুন, এই ক্ষেত্রে বাচ্চার আস্ত মাছটা খাওয়ার কোনো ফায়দা নেই। বরং তার ব্রেইনে একটা ভুল মেসেজ আজীবনের জন্য সেট হয়ে যাবে।

অথচ, ৩ টুকরো মাছ তাকে শেখাবে কীভাবে অল্প জিনিসও সবার সাথে ভাগ করে খেতে হয়। তার উল্টো দিকে থাকা মানুষগুলো খেয়েছে কিনা সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখার মানসিকতা জাগ্রত হয়। আর এই মেসেজটি আজীবন তার মস্তিষ্কে ঢুকে থাকবে।

এটা একেবারে ছোটবেলা থেকেই করা উচিত। বাচ্চা তার বয়স অনুযায়ী যতটুকু বোঝার ঠিকই বুঝবে। বাচ্চারা তাদের মতো করে সবই বুঝে।

ট্রিক্সটা কাজে লাগালেই দেখবেন, তাকে কিছু খেতে দিলে আগে আপনার হাতে দেখবে তার মায়ের ভাগটা আছে কিনা! আবার, বাবার ভাগটাও রেখে দিবে।

বর্তমান সময়ে অনেক বাচ্চাদের দেখা যায় সবকিছুই নিজের করে পেতে চায়, তার-ই ভাই বা বোন সে পেলো কিনা সেদিকে খেয়ালই রাখে না। দাদু, কাকা, বাবা, যে যা-ই আনুক না কেন, সবই তার চাই!

বাবা মা কে বুজতে হবে কীভাবে ছোট্ট ছোট্ট কাজের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে মূল্যবোধ এবং ভাগাভাগির শিক্ষা গড়ে তোলা যায়। এটি তাদের পরবর্তীতে জীবনে সঠিক মানসিকতা এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে সাহায্য করবে।

Loading