সোমালিয়া সংবাদ, পুরশুড়া: প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রচারও এদিন শেষ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মানুষ দু’হাত তুলে মমতা ব্যানার্জিকে সমর্থন করছেন। আমরা নিশ্চিত এখানেও মানুষ দু’হাত তুলে আমাদের আশীর্বাদ করবেন। মঙ্গলবার বিকেলে পুরশুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দিলীপ যাদবের সমর্থনে প্রচারে এসে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি একটি রোড শোতে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর সঙ্গে প্রার্থী ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাধিপতি মেহেবুব রহমান, পুরশুড়া ব্লকের তৃণমূল সভাপতি কিংকর মাইতি, আরামবাগ শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বপন নন্দী প্রমুখ। বালিপুর বাজার থেকে এই রোড শো শুরু হয়, শেষ হয় চব্বিশপুরে। এদিন এলাকার মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মহিলাদের উপস্থিতিও সকলের নজর কাড়ে। রাস্তার দু’ধারে অসংখ্য মানুষ ফিরহাদ হাকিমকে ফুল ছুঁড়ে অভ্যর্থনা জানান। সঙ্গে ছিল ‘খেলা হবে’ গানে কর্মী-সমর্থকদের নাচ। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ফিরহাদ হাকিম বলেন, দিলীপ যাদব পুরশুড়ায় নির্বাচনে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। কারণ লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপির থেকে তৃণমূল অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। এবার নদী উল্টো বইবে। সেই চ্যালেঞ্জ দিলীপ যাদব নিয়েছেন। দিলীপ যাদব বাঘের বাচ্চা। এখানে দিলীপ যাদব প্রমাণ করবেন লোকসভার ফলটা কিছুই নয়। তৃণমূলের জোয়ার বিজেপিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। এদিন তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে কারচুপির চেষ্টা চলছে অনেক জায়গায়। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ প্রত্যেকটা ইনস্টিটিউশনকে বিজেপি দখল করে নিয়েছে। নাহলে কেন যে পাড়ায় নির্বাচন সেখানকার পোলিং এজেন্ট দেওয়া হল না। আসলে বিজেপিকে সাহায্য করার জন্য যেখান থেকে খুশি পোলিং এজেন্ট আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, পাড়ার লোককে পাড়ার এজেন্টই চিনবেন, বাইরের এজেন্ট চিনবেন না। এর ফলে অহেতুক মানুষকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। পোলিং বুথের মধ্যে উত্তেজনা বাড়বে। অর্থাৎ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ব্যাহত করাই বিজেপির উদ্দেশ্য।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি