October 5, 2025

কথা রাখলেন তৃণমূল কর্মী, মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় আড়াই কিমি পথ দণ্ডি কাটলেন

সোমালিয়া সংবাদ, গোঘাট: কথা রাখলেন তৃণমূল কর্মী শেখ গোলাম মুস্তাফা। আর তাই প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ দণ্ডি কেটে পীর বাবার মাজারে চাদর ও ফুল চড়ালেন ওই তৃণমূল কর্মী। মুস্তাফার বাড়ি গোঘাটের ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরামপুর গ্রামে। তিনি পেশায় বালি খাদানের শ্রমিক। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকেই তৃণমূল দলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। অন্ধভবে ভালোবাসেন দলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে। তাই তিনি চেয়েছিলেন এবারের নির্বাচনে যেন তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এবং মমতা ব্যানার্জি তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে পারেন। এজন্য তিনি স্থানীয় ভাদুরের বাবা মকদম সাহেবের মাজারে মানত করেছিলেন। যদি তাঁর ইচ্ছা পূরণ হয় তাহলে তিনি তাঁর গ্রাম থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরের ওই মাজারে মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে দণ্ডি কেটে পৌঁছাবেন। তারপর ওই মাজারে চাদর ও ফুল চড়াবেন। এবারের নির্বাচনে তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ হওয়ায় তিনি ভীষণ খুশি। খুশি এলাকার সমস্ত তৃণমূল কর্মী সমর্থক এবং বহু সাধারণ মানুষ। তাই শুক্রবার সকালে তিনি তাঁর মানত পূরণ করেন। নিজের গ্রাম থেকে ফুল ও চাদর নিয়ে দণ্ডি কাটতে কাটতে মাজারে পৌঁছান। সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র সহকারে অন্যান্য কর্মী-সমর্থকরাও ছিলেন। নাচে গানে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে করতে সেখানে পৌঁছান। তারপর ওই পীর বাবার মাজারে চাদর ও ফুল চড়িয়ে দেন। এ বিষয়ে গোলাম মুস্তাফা বলেন, আমাদের এলাকায় হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। আমরা সকলে একযোগে চেয়েছিলাম যেভাবেই হোক সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে। কারণ আমরা চাই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলেমিশে থাকতে। তাই আমরা চেয়েছিলাম আমাদের কান্ডারী হিসেবে মমতা ব্যানার্জি যেন আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন। আমার সেই  মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ায় আমি খুব খুশি।

Loading