সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: গতকাল, ২৬শে জুন, পালিত হল বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৩১তম প্রয়াণ দিবস। বাংলা উপন্যাসের জনক, ‘বন্দে মাতরম্’-এর মহান রচয়িতা এবং ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় চেতনার সৃষ্টিকর্তা হিসেবে তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করল বাংলা ও সমগ্র ভারতবর্ষ।
বিভিন্ন সাহিত্য প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, ও গবেষণা সংস্থা আয়োজিত কর্মসূচিতে সাহিত্যিক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। কলকাতার বাংলা আকাদেমি, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সাহিত্যকীর্তির উপর বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
“বঙ্কিমচন্দ্র শুধু সাহিত্যিক নন, তিনি ছিলেন একাধারে রচয়িতা, দার্শনিক ও জাতীয় চেতনার উদ্দীপক।”
বঙ্কিমচন্দ্রের জীবন ও সাহিত্য–
জন্ম: ২৬ জুন, ১৮৩৮ | নৈহাটি, পশ্চিমবঙ্গ
মৃত্যু: ২৬ জুন, ১৮৯৪
পেশা: প্রশাসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হুগলি জেলার আরামবাগে মহকুমার DM ,DC হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি ১৮৬৫ সালে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
উল্লেখযোগ্য কীর্তি:
আনন্দমঠ
কপালকুণ্ডলা
দুর্গেশনন্দিনী
কৃষ্ণচরিত্র
বঙ্গদর্শন পত্রিকার সম্পাদনা
জাতীয় চেতনার রূপকার: “বন্দে মাতরম্” কবিতাটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেরণাস্তম্ভে পরিণত হয়।
“বন্দে মাতরম্” — কেবল গান নয়, এক জাতীয় অহংকার
“বন্দে মাতরম্” ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনের মুখ্য স্লোগান হয়ে উঠেছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে সুভাষচন্দ্র বসু, সকলেই এই রচনার শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাসী ছিলেন।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আজ আর কেবল একজন সাহিত্যিক নন, তিনি বাংলা ভাষা ও ভারতের আত্মপরিচয়ের স্থপতি। তাঁর প্রয়াণ দিবসে আবারও প্রতিধ্বনিত হয়েছে সেই পবিত্র ধ্বনি—
“বন্দে মাতরম্!”

More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি