October 5, 2025

সিএএ’র সময়সীমা বাড়লো, মতুয়া মহাসংঘের দাবির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত

সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪

ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA)-এর আওতায় আবেদন করার সময়সীমা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে।

সূত্রের খবর, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ এবং সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। মতুয়া মহাসংঘের পক্ষ থেকে মাননীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী শান্তনু ঠাকুর মহাশয় এই বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করেন।

এরপরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ-র হস্তক্ষেপে কেন্দ্র মানবিকতা ও বাস্তব পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সিএএ’র সময়সীমা বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেয়।

নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যে সমস্ত অমুসলিম ধর্মীয় সংখ্যালঘু (হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান) নাগরিকরা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁরা যদি বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়া থাকেন, বা তাঁদের নথির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলেও তাঁরা সিএএ’র আওতায় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এই ঘোষণাকে “ঐতিহাসিক ও মানবিক পদক্ষেপ” বলে অভিহিত করেছে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ। সংগঠনের মুখপাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, “যারা বছরের পর বছর ধরে নাগরিকত্বের প্রত্যাশায় অপেক্ষা করছিলেন, তাঁদের জন্য এই সিদ্ধান্ত আশার আলো।”

২০১৯ সালে সংসদে পাস হয় সিএএ (Citizenship Amendment Act), যার আওতায় ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের সীমান্তে প্রবেশকারী অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে দীর্ঘ সময় ধরে তার রূপায়ণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব প্রদান প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিভিন্ন রাজ্যে।

অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ এবং বিভিন্ন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ এবং রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য।

Loading