সোমালিয়া ওয়েব নিউজ; আরামবাগের রামকৃষ্ণ সেতু আজ যেন ভাঙনের প্রতীক। সেতুর একটি অংশ কয়েক মাস আগে ভেঙে পড়েছিল। সেই সময় আতঙ্কে প্রশাসন নানা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল—একমুখী যান চলাচল, ব্যারিকেড, সতর্কতা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই আতঙ্ক যেন ম্লান হয়েছে, অথচ ভাঙা সেতুটি ঠিক আগের মতোই পড়ে রয়েছে—অসংস্কৃত, অরক্ষিত, অবহেলার চাদরে ঢাকা। আজও সেই ভাঙা অংশ কেবলমাত্র ব্যারিকেড দিয়ে আটকানো। কাজের নামগন্ধ নেই। সেতুর অন্যত্র পুরনো গার্ডওয়াল কেটে ফেলে নতুন লোহার থাম বসানো হচ্ছে বটে, কিন্তু পূজোর আগেই কাজ শেষ হবে এমন প্রত্যাশা আর নেই। সেতুর ভাঙ্গা অংশের দু’পাশে সিসিটিভি বসানো হয়েছে নজরদারির নামে, কিন্তু ভাঙা জায়গায় প্রশাসনিক নজরদারি নেই, নেই মেরামতির প্রমাণও। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের জায়গা হলো নিয়ন্ত্রণ হারানো যান চলাচল। একসময় একমুখী যাতায়াত চালু থাকলেও বর্তমানে সেই শৃঙ্খলা আর মানা হচ্ছে না। কে কোন দিক থেকে যাবে, সেটি আর প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছে না। ফলে প্রতিদিনই দুর্বল সেতুর উপর দিয়ে যানবাহনের রেষারেষি চলছে। এই অব্যবস্থার ফল ভয়াবহ দুর্ঘটনা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।প্রশ্ন ওঠে—প্রশাসন কি কেবল উৎসবের আগে গার্ডওয়াল পাল্টানোতেই দায় সেরে নিচ্ছে? ভাঙা অংশ সংস্কার না হলে পুরো সেতুই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। আরামবাগ শহর ও আশপাশের হাজারো মানুষের যাতায়াত নির্ভর করছে এই সেতুর উপর। তাই অবিলম্বে প্রয়োজন সংস্কারের কাজ শুরু করা, প্রয়োজন প্রশাসনের দৃঢ় সিদ্ধান্ত ও দ্রুত পদক্ষেপ। একটি সেতু শুধু কংক্রিটের স্তূপ নয়, এটি মানুষের জীবনরেখা। সেই জীবনরেখা আজ অবহেলায় ভাঙা। প্রশাসন যদি এখনই জাগ্রত না হয়, তবে আসন্ন বিপর্যয়ের দায় কার ঘাড়ে বর্তাবে?

More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি