অভিজিৎ মুখার্জি, খানাকুল: তৃণমূল ও বিজেপি উভয় দলের পথসভাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হল খানাকুলের পোলের চকের মোড়। দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। তাঁদের খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান আরামবাগ এসডিপিও অভিষেক মন্ডল ও বিশাল পুলিশবাহিনী। অন্যদিকে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিজেপি নেতা-কর্মীরা খানাকুল থানা ঘেরাও করেন। বিজেপি নেতা কার্তিক পণ্ডিতের অভিযোগ, এদিন চকের মোড়ে কেন্দ্রের কৃষি বিলের সমর্থনে তাঁদের পথসভা হচ্ছিল। ঠিক তারপাশেই তৃণমূলও পথসভা করছিল। তাঁর দাবি, পুলিশের নির্দেশেই এই পথসভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁদের দলীয় কার্যকর্তাদের মারধর করে। পাশাপাশি ব্যাপক বোমাবাজি করে। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৯ জন বিজেপি কর্মী আহত হন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে খানাকুল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা নইমুল হক বলেন, খানাকুল-১ নম্বর ব্লকের উদ্যোগে কৃষক বিরোধী প্রতিবাদে ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময় আচমকা আমাদের কর্মীদের ওপর বিজেপির কিছু দুষ্কৃতী অতর্কিতে হামলা চালায়, বোমাবাজি করে। বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। আমি প্রশাসনের কাছে আবেদনের রেখেছি এই পশ্চিমবাংলায় মানুষ যাতে তাদের গণতন্ত্র অধিকার প্রয়োগ করতে পারে, মানুষ যাতে তার মিটিং মিছিল করতে পারে। তিনি জানান, খানাকুল অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। সেটা খানাকুল তৃণমূল কংগ্রেস তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে রুখবে।
![]()

More Stories
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লড়াই আজও প্রাসঙ্গিক — আরামবাগের সিপিআইএমের নেতা সমীর চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতায় উঠে এল সংগঠনের বাস্তবতা
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে পড়ুয়া সংকটে গোঘাটের লাইব্রেরিগুলি – পাঠক টানতে উদ্যোগের খোঁজে গ্রন্থাগারগুলি
কোলাহলের মাঝেই চলছে অখণ্ড হরিনাম— হুগলির বদনগঞ্জের কয়াপাট বাজারের মন্দিরে ৪৬ বছরের ঐতিহ্য