সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: স্বপন নন্দী। তিনি আরামবাগ পৌরসভার ‘প্রাক্তন’ চেয়ারম্যান। তৃণমূলের আরামবাগের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি, আরামবাগের প্রাক্তন শহর তৃণমূল সভাপতি ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেও বিভিন্ন সময় আসীন ছিলেন। গত কয়েক বছরে নিজের বুদ্ধিমত্তা ও সাংগঠনিক দক্ষতার জেরে তাবড় তাবড় তৃণমূল নেতাকে পিছনে ফেলে দ্রুতগতিতে তাঁর উত্থান ঘটেছিল। বর্তমানে আরামবাগের তৃণমূলের রাজনীতিতে তিনি চাণক্য হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন। সকলের ধারণা ছিল আবারও তিনি আরামবাগ পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে বসতে চলেছেন। কিন্তু সব হিসেব উল্টে এবার দল তাঁকে খালি হাতেই ফিরিয়ে দিল। সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশ উপেক্ষা করে তাঁর অনুগামীরা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। বিভিন্ন মিডিয়া এবং দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কাছ থেকে সেই তথ্য সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে যায়। এমনকি পিকের টিম স্বপনবাবু হয়ে ব্যাট ধরলেও দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে টলানো যায়নি। যার ফলস্বরূপ আরামবাগ ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থী তথা প্রবীণ তৃণমূল নেতা সমীর ভান্ডারীকে কঠিন লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে হয়েছিল। অন্যদিকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থী পরিণীতা ঘোষকে নির্দল প্রার্থীর ভোট কাটার জন্যই পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে। উল্লেখ্য, এই সমীর ভান্ডারী এবং পরিণীতা ঘোষ দু’জনেই তৃণমূল নেতৃত্বের খুব ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীরা নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়লেও প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী এ ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী এই বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। তিনি বারবার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও এই দুটি ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থীদের সরাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন স্বপনবাবু। দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর অভিযোগ, নির্দল প্রার্থীদের দিকেই নাকি স্বপনবাবুর নীরব সমর্থন ছিল। আর এই ঘটনাই তাঁর চেয়ারম্যান পদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত তাঁর কাছে ওয়াটারলুতে পরিণত হল। সেই সঙ্গে শেষ হল একটি অধ্যায়ের।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি