সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: নদীর জল ফুটছে আর ধোঁয়া বের হচ্ছে। আদিকাল থেকেই নাকী এই রখম চলে আসছে। স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকরা এই পবিত্র নদীর উদ্দেশ্য প্রনাম জানাচ্ছেন।পাহাড়ি নদীর এই রুপ যেন গঙ্গাদেবীর আশীর্বাদেই তৈরি হয়েছে।আঁকা বাঁকা পথ বেয়ে পাহাড়ি পথ পেড়িয়ে এই নদীতে পৌচ্ছান পুর্নার্থীরা।তার তীরে গড়ে উঠেছে দেবাদিদেব মহাদেবের মন্দির।এই পবিত্র ভুমি গড়ে উঠেছে হিমাচলের মনিকরনে। স্রোতস্বিনী এই নদীকে দেখতে সকাল হলেই কয়েক হাজার পুর্নার্থীর সমাগম হয়। মণিকরণ শিখ ও হিন্দুদের পবিত্র তীর্থক্ষেত্র।আর এ জায়গায় পৌঁছলেই আপনি দেখবেন নদী কেমন ফুটছে। চারদিক দিয়ে গলগলিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে।হিন্দু পৌরাণিক মত অনুসারে, একবার মহাদেব ও পার্বতী এখানে ভ্রমণ করতে আসেন। কথিত আছে, এখানে পার্বতী তাঁর অলংকারের একটি দামি মণি হারিয়ে ফেলেন। সেটি নদীতে তলিয়ে পাতালে শেষনাগের কাছে চলে যায় ও তিনি সেটি কুক্ষিগত করেন। পার্বতী মহাদেবের কাছে তাঁর মনিটি উদ্ধারের প্রার্থণা করেন। মহাদেব তাঁর সঙ্গীদের প্রেরণ করেন মনি উদ্ধারের জন্য। কিন্তু তাঁরা ব্যর্থ হন। প্রচণ্ড রাগে মহাদেবের তৃতীয় চক্ষু উন্মোচিত হয়। সারা জগৎ সংসার ছারখার হবার উপক্রম হয়। ফুটতে শুরু করে পার্বতী নদীর জল। শেষে কুপিত মহাদেবের সামনে উপস্থিত হয়ে শেষনাগ মণি ফিরিয়ে দেন। মহাদেবের রাগ কমলেও, নদীর জল আজও ফুটন্ত।শিব মন্দিরের পাশাপাশি এখানে আছে গুরুদ্বার।শিখদের কাছেও এই জায়গা পুর্নভুমি।সবমিলিয়ে নদীর জল ফোটার কারন মণিকরণে রয়েছে উষ্ণ প্রস্রবণ। এই উস্র প্রস্রবণের জল এতটাই গরম যে, সেই জলে রান্না পর্যন্ত হয়ে যায়। সালফার মিশ্রিত এই গরম জলে স্নান করলে ব্যথা-বেদনা, রোগ, ব্যাধি দূর হয় মনে করেন অনেকে।তবে ধর্মীয় স্থান হওয়ায় হিন্দু ও শিখদের পবিত্র তীর্থভুমি হিসাবে গড়ে উঠেছে এই স্থান।
More Stories
১৩ হাজার ডলারের বিনিময়ে কেনা এক টুকরো বিরানভূমি, যা পরিণত হলো প্রকৃতির স্বর্গে
কেন ব্যবহার করা হয় “ঘট” হিন্দু পূজায়?
মা দুর্গার মুখে উর্ণনাভ: মহামায়ার চিহ্ন