সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: নিজের জীবিত থাকার প্রমাণ দিতে প্রথমে ফোন করে, পরে ভিডিও বার্তা দিলেন এক বিবাহিত মহিলা। আর তা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গেছে আরামবাগে। জানা গেছে, শিউলি বেগম নামে ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ি আরামবাগে কীর্তিচন্দ্রপুরে। বাপের বাড়ি গোঘাটের কুমারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলা গ্রামে। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকেন। বুধবার সকালে আরামবাগের বসন্তপুর সংলগ্ন রেললাইনের পাশে একটি ড্রেনে এক মহিলার হাত-পা বাঁধা পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহটি শনাক্ত করা খুবই কঠিন ছিল। প্রাথমিক অনুমান ছিল, বাইরে থেকে কাউকে খুন করে হয়তো ওখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এরপর শিউলি বেগমের শ্বশুরবাড়ির লোক বৃহস্পতিবার আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ওই মৃতদেহ শনাক্ত করেন। তাঁরা জানান, পরিষ্কার বোঝা না গেলেও বিভিন্ন চিহ্ন এবং চেহারা দেখে তাঁরা বুঝতে পারছেন তাঁদের বাড়ির বধূ শিউলি বেগমেরই দেহ। তাঁকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খুন করে ওখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এরপরই আরামবাগ থানার পক্ষ থেকে পরদিন ওই মৃতদেহ শিউলি বেগমের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু শুক্রবার সকালে হঠাৎই একটি নম্বর থেকে ফোন করে আরামবাগ থানায় ও তাঁর শ্বশুরবাড়িতে শিউলি বেগমের নাম করে একজন মহিলা জানান, তিনিই শিউলি বেগম এবং তিনি জীবিত আছেন। ওই মৃতদেহ তাঁর নয়। এরপরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পুলিশ মহলে। সত্যিই শিউলি বেগম ফোন করেছেন নাকি তাঁর নাম করে অন্য কোন মহিলা ফোন করেছেন তাই নিয়ে রহস্য দেখা দেয়। এরপর সন্ধেয় শিউলি বেগম একটি ভিডিও পোস্ট করে নিজের বেঁচে থাকার প্রমাণ দেন। যদিও সেই ভিডিও বার্তার সত্যতা পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। ওই ভিডিও বার্তায় ওই মহিলা তাঁর নাম ঠিকানাসহ নিজেকে শিউলি বেগম দাবি করেন এবং তিনি জীবিত আছেন বলে জানান। এরপরই ওই মৃতদেহ হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে আরামবাগ থানার পুলিশ। এ বিষয়ে আরামবাগ এসডিপিও অভিষেক মন্ডল বলেন, ওই মৃতদেহটি কার এবং কিভাবে ওখানে এল সবকিছুই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে শিউলি বেগমের শ্বশুরবাড়ির সদস্য মীর চঞ্চল বলেন, উনি যেখানেই থাকুন বেঁচে আছে জেনে ভাল লাগছে।
More Stories
১৩ হাজার ডলারের বিনিময়ে কেনা এক টুকরো বিরানভূমি, যা পরিণত হলো প্রকৃতির স্বর্গে
কেন ব্যবহার করা হয় “ঘট” হিন্দু পূজায়?
মা দুর্গার মুখে উর্ণনাভ: মহামায়ার চিহ্ন