সোমালিয়া সংবাদ, কামারপুকুর: কামারপুকুর শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ সংলগ্ন লক্ষ্মীজলায় চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী রথযাত্রার দিন মঠের সাধু-সন্ন্যাসীরা একযোগে ধান রোপন শুরু করলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন সূত্রে জানা গেছে, তৎকালীন জমিদারের অত্যাচারে শ্রীরামকৃষ্ণের পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় তাঁর দেশের বাড়ি দেরেপুর গ্রাম ছেড়ে কামারপুকুরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। তখন তাঁর বন্ধুস্থানীয় সুখলাল গোস্বামী লক্ষ্মীজলায় প্রায় দু’বিঘে জমি তাঁকে দান করেছিলেন। ক্ষুদিরাম প্রতিবছর একটি বিশেষ শুভ দিন দেখে নিজে ধান রোপণের কাজ শুরু করতেন। তারপর কৃষকরা বাকি ধান রোপন করতেন। ওই জমি থেকে উৎপন্ন ফসলেই তার সারা বছরের সংসার চলত। এ বিষয়ে মঠের অধ্যক্ষ স্বামী লোকোত্তরানন্দজী মহারাজ বলেন, ‘সেই রীতি অনুসারে প্রতিবছর একটি শুভদিন দেখে মঠের সাধু-সন্ন্যাসীরা প্রথম দিন ধান রোপণের কাজ শুরু করেন। তারপর চাষিরা লক্ষ্মীজলার এই দু’বিঘে সহ মঠের ৫০-৬০ বিঘে জমিতে ধান রোপন করেন। এর দিন আমরা আমাদের সঙ্গে পেয়েছিলাম কাঁকুড়গাছির প্রবীণ সন্ন্যাসী স্বামী বিমলাত্মানন্দজী মহারাজকে। তিনিও এই বয়সে আমাদের সঙ্গে মাঠে নেমে ধান রোপণের কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। এর জন্য আমরা সত্যিই গর্বিত।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি